নিজ সংবাদ ॥ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খোকসার সীমান্তবতি এলাকায় পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের লক্ষণদিয়া গ্রামে রওশন মন্ডল ও একই গ্রামের মৃত আছাই সরদারের ছেলে আমদ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও দু-গ্রুপের উত্তেজনা চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনস্থল থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের রওশন মন্ডল বলেন আমি প্রায় ২০ বছর যাবত আমার ২০ শতাংশ জমিতে একটি মেহগনি বাগান করি। জমির সীমানা নিয়ে কেউআজ সৃষ্টি করে আমার বাগান থেকে গাছ কেটে নেয়। সে সময় স্থানীয় মক্কেলদের মাধ্যমে সরকারি আমিন দিয়ে জমি মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। আমি আমার জমির চতুরপাশ দিয়া আমার মেহগুনি বাগানটি তারকাটা বেড়া দিয়ে বন্ধ করি দিই। পরে এসে আমার পার্শ্ববর্তী মৃত আছাই সদ্দার এর ছেলে আমদ আলী সহ তার তিন ভাই জমি মাপ দেওয়ার জন্য আমাকে জানায়। আমার আত্মীয় অসুস্থ থাকার কারণে আমি ঢাকায় অবস্থান করেছিলাম। আমি না থাকার কথা তাদেরকে বলেছিলাম। কিছুদিন পর জমি মাপার কথা তাদের কে বলেছিলাম। তারা আমার কথা না শুনে নিজেরাই জমি মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে আমাকে না জানিয়ে আমার জমিতে তারকাঁটা বেড়া ভেঙে জোরপূর্বক ভাবে ১১/১২ টি মেহগনি গাছ নষ্ট করে ফেলেছে। স্থানীয় কারো কথা না মেনে আমাকে তারা ক্ষয়ক্ষতি করেছে। এ বিষয়ে আমদ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রওশন মন্ডল আমিন এনে আমার বসতবাড়ির উপর দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে যায় এবং রাস্তা ও চলাচলের জায়গা বন্ধ করে দেয়। এ মতাবস্থায় আমি এবং আমার ভাইয়েরা মিলে রওশন মন্ডলের বাড়ির উপর একাধিক বার যেয়ে বলে আসি আপনি সীমানা ঘিরে দিয়ে আমাদের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন আসুন ফের জমি মাপামাপি করি কিন্তু সে আমাদের কোনভাবেই পাত্তা দেয়নি। আমরা পরবর্তীতে আমিনের মাপে যেটা পেয়েছি তার বিশ শতক জমির কথা থাকলেও দখলে তার ২২ শতাংশ জমি রয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আমদ আলী বলেন পুনরায় জমি মাপ দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করে যদি আগের সীমানা থাকে তাহলে আমরা তার বেড়া ও গাছগুলো পুনরায় রোপন করে দিব। যতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিবে বলেও জানিয়েছেন আমদ আলী।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply