ঢাকা অফিস ॥ জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ আর তীব্র প্রভাব দেখছে বিশ্ববাসী। সাইবেরিয়া থেকে সিয়াটল- অস্বাভাবিক গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবন। একদিকে দাবানল রুখতে কাজ চলছে অপরদিকে বন্যা আর ঝড় স্বাভাবিকের চেয়ে ক্ষয়ক্ষতি বাড়িয়ে তুলছে। বিরূপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশ আর জলজ প্রাণীর ওপর। ইউরোপ, এশিয়া বা আমেরিকার দেশগুলোর এক অংশ তীব্র তাপপ্রবাহ আর দাবানলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। বিপরীত অংশে আছড়ে পড়ছে এলসার মতো ঝড়। তীব্র তাপপ্রবাহে এরইমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন হাজারের বেশি মানুষ। আসছে সপ্তাহে দেশগুলোতে কয়েক কোটি মানুষের ওপর তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বলা হচ্ছে এসময়ের তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা, ওরেগন ও ক্যালিফোর্নিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল। এদিকে, গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া শতাধিক দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কানাডা। দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়াতেও। চেলাবিনস্কের দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় কয়েকটি গ্রাম থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে হাজার হাজার বাসিন্দাকে। এছাড়া, দেশটির শীতলতম ইয়াকুটিয়ায় সক্রিয় ৩শর বেশি দাবানল। সাইবেরিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলে দাবানল ও তাপমাত্রা বাড়ছে অস্বাভাবিক ভাবে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে স্পেনের মালাগা। অন্যদিকে বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নিউইয়র্ক আর জাপানের একাংশ। ঘূর্ণিঝড় এলসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলীয় শহরগুলো। শুধু মানুষের উপরই নয় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে জলজ প্রাণীর ওপরও। কানাডার সমুদ্র সৈকতে প্রচ- গরমে নিজেদের খোলসের ভেতর সেদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক লাখ সামুদ্রিক প্রাণী। তাপপ্রবাহে অন্তত একশ কোটি সামুদ্রিক প্রাণী প্রাণ হারাবে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এদিকে, বিজ্ঞানীরা বলছেন মানুষের প্রভাব ছাড়া জলবায়ুর এ ধরণের পরিবর্তন অসম্ভব ছিল। তাই সামনের দিন গুলোতে দাবানল আর তাপপ্রবাহের মতো দুর্যোগ গুলো দেখা দেবে আরও ভয়ানক রূপে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply