ঢাকা অফিস ॥ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির প্রধান পরামর্শক মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামী মাসের মধ্যে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা চূড়ান্ত হবে। গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে আয়োজিত জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির তৃতীয় ও চূড়ান্ত কনসালটেটিভ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটি ইতোমধ্যে রংপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্রগ্রাম, সিলেট এবং ময়মনসিংহের অংশগ্রহণকারী এবং অংশীদারদের সঙ্গে দুটি বিভাগীয় পরামর্শসভা করেছে। মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালা প্রণয়ন করা হলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিখাত এবং উন্নয়ন অংশীদারদের স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রমকে মূলধারায় আনা এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদানে সহায়ক হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা সুনির্দিষ্ট কার্যপরিধির মাধ্যমে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নীতিমালার কাজ শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক নীতিমালার সারসংক্ষেপ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুঃসময়ে স্বেচ্ছাসেবকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনেক জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নেন উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, নীতিমালাটি স্বেচ্ছাসেবীর উদ্যোগগুলোকে আরও শক্তিশালী করে তাদের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রতিবন্ধকতা দূর করে সুরক্ষার জন্য বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করবে, যা দেশে শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে ভূমিকা রাখবে। সভায় অংশ নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবীর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তাই তাদের স্বীকৃতি দেওয়া জরুরি। স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন নিজস্ব প্রচেষ্টায় এই প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নীতিমালাটি স্বেচ্ছাসেবীদের কার্যবিধি বাড়াতে এবং সম্ভাব্য অংশীদারদের একত্র করার জন্য সামগ্রিক অনুকূল পরিবেশ তৈরির পথ প্রশস্ত করবে। ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও জাতীয় কারিগরি কার্যনির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক দীপক চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, সুলতানা আফরোজ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আক্তার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।