নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর এলাকার ভূতপাড়ায় গত ১৯ মে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্র“পের দুজন নিহত হয়। এক পক্ষের নিহত মিরাজের শ্যালক রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে পরেরদিন ১১ জনের নাম উল্লেখ ও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের- পর থেকে মামলার আসামীরা মামলা তুলে নিতে বাদী রেজাউল ইসলামকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী রেজাউল ইসলাম মামলার আসামী কয়া ইউনিয়নের চর বানিয়াপাড়া এলাকার আজিল বিশ্বাসের ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া ও তার ভাই গাফফার, মৃত মকবুলের ছেলে মজিবর রহমান ও মৃত চাঁদ আলী বিশ্বাসের ছেলে আক্তার এর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) দায়ের করেছেন। জিডি নং-১৫৯০, তারিখ ২২ মে ২০২৩ইং। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২১ মে বেলা ১২টার দিকে হাটশ হরিপুর বাজারের উপর মামলার বাদী রেজাউল ইসলাম অবস্থানকালে পরিচিত একজনের মাধ্যমে জানতে পারেন, সে যদি মামলা তুলে না নেয় তাহলে মামলার আসামীরা রেজাউল ইসলাম ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করবে। এ ঘটনায় চরম আতংকের মধ্যে দিন পার করছেন মামলার বাদী রেজাউল ইসলাম। জানা যায়, জিয়াউর রহমান জিয়া ও আক্তার হোসেনের তান্ডবে হরিপুর এলাকা এখন অশান্ত। এই জিয়া কয়া ইউনিয়নের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চু হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। বাচ্চু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার যাবজ্জীবন হয় জিয়ার। দীর্ঘ ৯ বছর জেল খেটে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। জামিন পেয়ে আগের মতোই তান্ডব করে জিয়া। তার বড় ভাই সন্ত্রাসী আজবার তৎকালিন বাচ্চু হত্যা মামলার আসামী থাকা অবস্থায় র?্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সন্ত্রাসী আজবারের অস্ত্র ভান্ডার রয়ে যায় তার ভাই জিয়ার কাছে। এলাকাবাসীর দাবী জিয়াউর রহমান জিয়াকে গ্রেফতার করে প্রশাসন জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসবে নিহত আজবারের অস্ত্র ভান্ডারের তথ্য। জিয়া ও আক্তার এলাকার নিরিহ মানুষকে অত্যাচার, জুয়া খেলার সিন্ডিকেটের মূলহোতা। জিয়া ও আক্তারের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নিহত মিরাজের পরিবারের। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জিয়া পাশ্ববর্তী পদ্মা গড়াই পারে অবস্থিত কয়া ইউনিয়নের চর বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। পদ্মার চর পার হলেই পাবনা জেলা এই সুযোগ গ্রহণ করে একেরপর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে চলেছে জিয়া বাহিনী। পদ্মার বিশাল চর ও আলাদা জেলা হওয়ার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করেন জিয়া বাহিনী। তারা মাঝে মাঝে এলাকায় এসে আতঙ্ক ছড়িয়ে আবার চলে যায় বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী বলেন জিয়া ধরা না পড়লে সে যেকোনো সময় আবারো হত্যার মতো ঘটনা ঘটাতে পারে।