1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৫:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মিরপুর উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা মিরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহুরা খাতুনের বিদায় সংবর্ধনা খোকসায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ২৬ টি সরকারি ঘরের চাবি হস্তান্তর কুষ্টিয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুই জনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান সিটি কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া সদরে নতুন করে স্বপ্নের ঘর পেল ৪২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার আলমডাঙ্গায় ১৭জন ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে  জমি ও ঘর হস্তান্তর ভেড়ামারায় খালে ডুবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু মিরপুরের নওপাড়া বাজারে শান্তি সমাবেশ কুষ্টিয়ায় কিশোর গ্যাং শব্দটি শুনতে চাই না : এমপি হানিফ

ঝিনাইদহের শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা পেঁপে চাষ

  • সর্বশেষ আপডেট : সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৬ মোট ভিউ

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ ঝিনাইদহ সদর পৌরসভার পবহাটি গ্রামের শিক্ষিত যুবক সোহেল রানা। আব্দুল খালেক ও আলেয়া বেগম দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। পিতার ৮ শতক জমির উপর বসতবাড়ি ছাড়া কিছুই ছিলো না তাদের। শহরের পবহাটি সিটি মোড়ে একটি মুদি দোকান আছে তাদের। তা থেকে যা আয় হতো তা দিয়ে ৭ সদস্য’র সংসার চালাতে হিমশিত খেতে হতো পিতা আব্দুল খালেকের। অভাবের সংসারে ২০০৮ সালে এসএসসি ও ২০১৩ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে সোহেল রানা। চরম অভাব অনটনের মধ্যে উন্মুক্ত বিশ^বিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে বিএসএস কোর্স ও ২০১৮ সালে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয় থেকে এমবিএ কোর্স সম্পন্ন করে। অভাবের সংসারে পিতার সহযোহিতা করতে লেখাপড়ার মাঝেও ২০১২ সালে গ্রামের মাঠে ১০০ শতক জমি নিয়ে শুরু করেন পেঁপে চাষ। ৬ মাসের মধ্যে পেতে শুরু করেন সফলতা। পিতার সহযোগিতায় যুবক সোহেল রানা ঝুঁকে পড়েন পেঁপে চাষে। ৩ বছরে ভালো ফলন পায় সে। কিন্তু টাকার জন্য আবাদ বৃদ্ধি করতে পারছিলেন না তিনি। ২০১৫ সালে কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পুরোদমে শুরু করে পেঁপের আবাদ। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। কয়েক বছরে ভালো লাভ করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ৭৫০ শতক জমিতে পেঁপের আবাদ করছেন। তার জমিতে উৎপাদিত পেঁপে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন কাচাবাজারে পাঠান তিনি। আবাদ করে যা লাভ হয়েছে তা দিয়ে করেছেন বাড়ী, বোনদের বিয়ে দিয়েছেন। এখন তিনি স্বাবলম্বী। বর্তমানে প্রতিবছর তিনি ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রি করেন। যুবক সোহেল রানা বলেন, আমি এক সময় খুবই কষ্ট করেছি। অভাবের সংসারে ভালোমত লেখাপড়াও করতে পারিনি। তারপরও অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করেছি। এর মাঝেই পেঁপের আবাদ করি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আজ আমি পেঁপে চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। শুধু চাকুরীর পিছনে না ঘুরে সরকারের সহযোগিতা নিয়ে চাষাবাদ করলেও ভাগ্য ফেরানো সম্ভব। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম বলেন, যুবক সোহেল রানা বিভিন্ন জাতের পেঁপে আবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তাকে বিভিন্ন ভাবে আমরা সহযোগিতা করেছি। আগামীতেও যদি কোন সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তাহলে তা করা হবে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Theme Customized By Uttoron Host

You cannot copy content of this page