তরিকুল ইসলাম তারেক: সততার পরিচয় দিতে গিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন ঝিনাইদহের মোশাররফ হোসেন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে পিতা মাতা এবং আত্মিয়স্বজনদরে হস্তক্ষেপে বিকাশ এজেন্টের টাকা পরিশোধ করে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন ওই ছাত্রী। বুধবার (২৯ জুন ২০২২) বিকালে শহরের মহিলা কলেজ পাড়া একটি বিকাশ এজেন্ট স্টোরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঐ ছাত্রীর পিতা মোঃ শাহিনুর ইসলাম। তিনি জানান, প্রতারণার ফাঁদে পড়ে বিকাশের এজেন্ট নাম্বার থেকে ২০ হাজার চারশত টাকা পাঠান আমার মেয়ে। তিনি আরো জানান আমি গরিব মানুষ কিভাবে এই বিকাশ এজেন্ট এই টাকা পরিশোধ করবো, এদিকে আমার মেয়ে প্রতারণার শিকার হয়ে খুবই অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার বর্নণা দিয়ে কলেজ ছাত্রী তিকলী জানান, ২৯ জুন বিকালে আমার মোবাইল নাম্বার ০১৯৩৬ ৭৬০২৪৯ তে একটি অপরিচিত নাম্বার ০১৮৫৫ ৯৪৭৬৭৬ থেকে ফোন আসে এবং উক্ত অজ্ঞাত ব্যাক্তি বলে ‘আমি শিক্ষা উপবৃত্তির জন্য কলেজ থেকে বলছি আপনার শিক্ষা উপবৃত্তি সংক্রান্ত তথ্যের জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হলো। আমাকে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি শিক্ষাবৃত্তির ২০,৪০০ (বিশ হাজার চারশত) টাকা প্রদান করা হবে। অতঃপর আমি তাদের তাদের সাথে সরল মনে কথা বলি এবং এক পর্যায়ে আমাকে বলে ‘সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া শিক্ষা উপবৃত্তির টাকার জন্য আপনার নিজের নামে বিকাশ একাউন্টে ২০৪০০/- (বিশ হাজার চারশত) টাকা ক্যাশ ইন করতে হবে’ আমি সরল মনে তার কথা বিশ্বাস করে আমার মায়ের নামে থাকা বিকাশ একাউন্ট নাম্বারে ০১৯৩৬ ৭৬০২৪৯ একটি এজেন্ট নাম্বার (০১৭১২ ৫৩৮৯০৪) থেকে ২০,৪০০/- (বিশ হাজার চারশত) টাকা ক্যাশ ইন করি।অতঃপর আমি ক্যাশ ইন কারার কিছুক্ষন পরে ব্যালেন্স চেক করে জানতে পারি কে বার কাহারা আমার বিকাশ নাম্বারে থাকা ২০,৪০০/- (বিশ হাজার চারশত) টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আর যে নাম্বারে কথা বলেছিল সেই নাম্বারও বন্ধ করে ফেলেছে। তখন বুঝতে পারি আমি প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়েছি।
Leave a Reply