ঢাকা অফিস ॥ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট যথাসময়ে করোনার ভ্যাকসিন দিতে না পারলে টাকা ফেরত দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল বুধবার দুপুরে ১৮তম অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও ২২তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বুধবারের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত সভায় দুটি এজেন্ডা এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদিত ১৬ প্রস্তাবের মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৩২ হাজার ৮৬৮ টাকা। ভারতের কাছ থেকে টিকা নিতে না পারলে টাকা ফেরতের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এটা দেখভাল করবে। চুক্তি অনুযায়ী কত দিন সময় নিয়েছিল সেটি দেখতে হবে। তাদেরও (ভারত) সেখানে টিকা প্রয়োজন। সেসব কারণ বিবেচনায় নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। অবশ্যই এটা ঠিক, তারা ফেল করলে টাকা ফেরত দেবেই। রিজার্ভ চুরির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চুরি হওয়া টাকার বিষয়ে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় গেছি। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বা আমাদের চিন্তায় যারা ছিল, তাদের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি, মামলা এখনও চলমান। এ সময়ে এ বিষয়ে কোনো মামলা করা সমীচীন নয়। সেজন্য আমি কোনো মন্তব্য করব না। সংসদীয় কমিটিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি সার্জিক্যাল মাস্ক ৩৫৬ টাকা দরে কেনা হয়েছে, এগুলো সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে। কেবিনেট কমিটি মনিটর করলে ২ থেকে ১০ টাকার মাস্ক কীভাবে ৩৫৬ টাকা দিয়ে কেনা হয় এমন প্রশ্নের জাবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে যেভাবে বরাদ্দ দেয়া হয় তেমনি তাদের ক্রয় করার সুযোগও আছে। তারা নির্দিষ্ট লিমিটের মধ্যে কিনতে পারে, সেই লিমিট যখন ক্রস হবে তখন আমাদের কমিটিতে আসবে। তার আগে মন্ত্রণালয় যথাযথ কর্তৃপক্ষ, তাদের ক্রয়ের ক্ষমতা রয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply