ঢাকা অফিস ॥ টিপ পরা নিয়ে শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেককে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবাদ মাধ্যমে খবরটি যেভাবে আসছে তাতে পুলিশের তদন্ত নিয়ে শতভাগ বিশ্বাসযোগ্যতা যেন থাকে ও গাফিলতির অভিযোগ না উঠে সেজন্য ওই অভিযুক্ত কনস্টেবলকে সাসপেন্ড (বরখাস্ত) করা হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঘটনার অভিযোগ উঠার পর থেকেই পুলিশ গুরুত্ব সহকারে জোড়ালো তদন্ত ও অভিযুক্ত শনাক্ত করেছে। পুলিশ তদন্তে আন্তরিক, গাফিলতির সুযোগ নেই এটা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তবে যিনি ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন তাকে প্রমাণ করতে হবে। আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি তদন্ত করছে। অভিযোগকারীকে অভিযোগের ব্যাপারে প্রমাণ করতে হবে আসলে ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ সদস্য ঘটনায় জড়িত। জানা গেছে, টিপ পরায় শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার ঘটনার তদন্ত করতে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত শনিবার তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেন যে, তিনি পুলিশের পোশাক পরিহিত একজন দ্বারা ইভটিজিং ও প্রাণনাশের চেষ্টার শিকার হয়েছেন, যার ঘটনাস্থল শেরেবাংলা নগর থানাধীন সেজান পয়েন্টের কাছাকাছি। এ অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত কাজ শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে তেজগাঁও পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে শনাক্তকৃত পুলিশের নাম মো. নাজমুল তারেক। তার পদবি কনস্টেবল, বর্তমানে ডিএমপির প্রটেকশন বিভাগে তিনি কর্মরত। ডিএমপির উপকমিশনার আরও বলেন, শনাক্ত হওয়া কনস্টেবল অভিযোগকারীর সঙ্গে বাক-বিত-ায় লিপ্ত হওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনার তদন্তে ২ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply