ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ লর্ডসে টেস্ট অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার ডেভন কনওয়ে। অভিষেকে দ্বিতীয় কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির গৌরব অর্জন করেছেন। তার ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করেই প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে কিউইরা। জবাবে ইংল্যান্ড দ্বিতীয় দিন শেষে সংগ্রহ করেছে ২ উইকেটে ১১১ রানে। সকালটা রানের পাহাড়ে চড়ার সম্ভাবনা নিয়েই শুরু করেছিল কিউইরা। ৩ উইকেটে স্কোর ছিল ২৮৮ রান। কিন্তু ইংলিশদের অসাধারণ বোলিংয়ে হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যায় সফরকারীদের ব্যাটিং। ৬ রানে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। পরিস্থিতি এত করুণ ছিল যে শেষ ৭ উইকেটই পড়েছে ৯০ রানে! এমন পরিস্থিতিতেও নিউজিল্যান্ডের হয়ে লড়াই অব্যাহত রেখেছিলেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা কনওয়ে। তার ব্যাটে স্কোরবোর্ডে রান জমা হতে থাকলেও শেষ দিকে দ্রুত ২ উইকেট পড়লে কিউই এই ব্যাটসম্যানের ডাবল সেঞ্চুরি হওয়া নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নিল ওয়াগনার তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়ায় আর কোনও সমস্যা হয়নি। টেস্ট ইতিহাসের সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি পূরণ করেন কনওয়ে। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট অভিষেকেও সেরা স্কোর এটি। ১২৫ বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে অভিষেকে সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ডটা ছিল ভারতে জন্ম নেওয়া ইংলিশ ক্রিকেটার রনজিৎ সিংজির। তিনি করেছিলেন অপরাজিত ১৫৪ রান। ১৮৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই স্কোর করেন তিনি। কনওয়ে এবার তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। সেটি করতে শেষ দিকের প্রতিরোধে ওয়াগনার-কনওয়ে মিলে গড়েন ৪০ রানের জুটি। কনওয়ে ২০০-তে রান আউট হওয়াতে ৩৭৮ রানে শেষ হয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেকটা রাঙিয়েছেন পেসার ওলি রবিনসনও। নিয়েছেন ৪টি উইকেট। তিনটি নিয়েছেন মার্ক উড। এর পর ইংল্যান্ডকেও বিপদে ফেলে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড পেসাররা। চতুর্থ ওভারে ডম সিবলিকে ফেরান কাইল জেমিসন। সপ্তম ওভারে জ্যাক ক্রলিকে সাজঘরে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন টিম সাউদি। ধীরে ধীরে সেই ধাক্কা সামলে উঠে ইংল্যান্ড। রোরি বার্নস ও জো রুটের ৯৩ রানের জুটিতে দিনটা নির্বিঘেœই পার করে স্বাগতিকরা। বার্নস ব্যাট করছেন ৫৯ রানে, ইংলিশ অধিনায়ক ৪২ রানে ক্রিজে আছেন।