ঢাকা অফিস ॥ করোনাভাইরাসের বিরেুদ্ধে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনার টাকা এখনও না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদ। গতকাল শনিবার করোনাভাইরাসের চিকিৎসার ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতি জানতে রাজধানীর মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীগণের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ প্রতিক্রিয়া দেখান জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, “করোনা যুদ্ধের সম্মুখসারির যোদ্ধা ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের দুই মাসের বেতনের সমপরিমাণ প্রণোদনার টাকা গত নয় মাসেও দেয়া হয়নি। একইভাবে করোনায় দায়িত্বরত ডাক্তারদের দুই হাজার টাকা, নার্সদের ১২০০ টাকা, স্বাস্থ্য কর্মীদের ৮০০ টাকা করে দৈনিক ভাতা দেয়ার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এটা করোনা যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধাদের প্রতি মহা অন্যায়। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও এই প্রণোদনা না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে। জাসদ সভাপতিদ ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ডিএনসিসি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের সুপারিশ তুলে ধরবেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে যান জাসদ নেতারা। জাসেদর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, আইসিইউ সরঞ্জাম কেনার জন্য থোক বরাদ্দের ব্যবস্থা করা, প্রচলিত সরকারি ক্রয় পদ্ধতি স্থগিত করে দ্রুত সময়ে চিকিৎসা সঞ্জাম-ওষুধ কেনার বিশেষ সুযোগ প্রদান করার আহ্বান জানান। গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএনসিসি হাসপাতালে গেলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন তাদের স্বাগত জানান। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাসদের সভাপতি ইনু বলেন, “সীমিত সংখ্যার মধ্যে ডাক্তাররা চমৎকারভাবে কোভিড মহামারী মোকাবেলা করে যাচ্ছেন, তারা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। গত বাজেটে কোভিট মহামারী মোকাবেলা করার জন্য হাসপাতালের অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি করার টাকা বরাদ্দ করা হলেও অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসকরা বলেন, দেশের চিকিৎসাসেবা খাতের অবকাঠামোগত যে অপ্রতুল আছে তাতে সংক্রামিত রোগির সংখ্যা বাড়লে চাপ বহন করা কঠিন হয়। তাই মানুষ যেন সংক্রামিত এবং সংক্রামিত হয়ে হাসপাতালে আসতে না হয় তার জন্য জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। তারা বলেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জনসচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ইনু ও শিরীন ছাড়াও জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, জাতীয় যুব জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম নুরসহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।