ঢাকা অফিস ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকা-ের কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তারা উন্নয়ন, শান্তি ও স্বস্তির বাংলাদেশ চায় না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়া তাদের গাত্রদাহ। তারা চায় সংঘাতে জর্জরিত রক্তময় প্রান্তর। গতকাল রোববার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে নিজের বাসভবন থেকে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, ‘তাই আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে আমাদেরকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক ধারায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘চলমান করোনা সংকটে অসহায়, দুঃখি মানুষের পাশে দাঁড়ালেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সঠিক সম্মান প্রদর্শন এবং তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকা- ছিল ১৫ আগস্ট। নির্মমতার দিক থেকে এমন রাজনৈতিক হত্যাকা-ের নজির পৃথিবীতে আর নেই।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জগতে অন্যান্য হত্যাকা-ে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি। টার্গেট করা হয়নি অবলা, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে।’ তিনি বলেন, ‘সেদিন শুধু বঙ্গবন্ধুই নন,তাঁর সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম মুজিবসহ নৃশংসভাবে নিহত হন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। তারা পরবর্তীতে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে কারাকক্ষে হত্যা করে।’ কাদের আরও বলেন, ‘একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।’ তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’ আগস্ট এলেই বঙ্গবন্ধুকন্যার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৮১ সালে তিনি দেশে ফিরে আসার পর তাকে প্রায় ২০ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়।’ যারা খুনের কুশীলব ছিল, তাদের অপমৃত্যু হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করেনি,ক্ষমা করেওনা।’ তিনি বলেন, ‘এদেশে যারা রক্তাক্ত আগস্ট ঘটিয়েছিল, যারা ছিল বেনিফিশিয়ারি তাদের বিচার প্রকৃতির আদালতেই সম্পূর্ণ হয়েছে।’ ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘৩ নভেম্বরের হত্যাকা- মূলত আওয়ামী লীগ ও জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট, ৩ নভেম্বর ও ২১ আগস্টের হত্যাকা- একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা।’ ব্যবসায়ীদের অনুরোধে গতকাল থেকে রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ঘোষণা করেছে সরকার জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ব্যবসায়ী নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কারখানার আশপাশের শ্রমিকদের নিয়ে প্রথমে কারখানা চালু করবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো, অনেক প্রতিষ্ঠান শ্রমিকদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার নোটিশ দেয়, এতে বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করে, মানুষের রাজধানীমুখী যে ¯্রােত তাতে সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে।’
You cannot copy content of this page
Leave a Reply