ঢাকা অফিস ॥ জিয়াউর রহমানকে জাতির পিতা ঘোষণা দেয়ার অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৮ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএনপির ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লন্ডনে আয়োজিত একটি কর্মীসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেন যে, তাহলে নেতৃবৃন্দ আজ কি এই সভায় যারা সামনাসামনি উপস্থিত আছেন, আজ এই সভায় ক্যামেরার মাধ্যমে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কি আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি? আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুধু বাঙালি জাতি না, বাঙালিসহ ৫৫ হাজার ১২৬ বর্গমাইলের মধ্যে যতগুলো জাঁতি বাস করে, যারা বাংলাদেশি জাতির পরিচয় বহন করে, যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় দেয়, সেই বৃহৎ জনগোষ্ঠীর জাতির পিতা বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। আমরা কি আজকে সকলে মিলে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারি? তাহলে আজ থেকে সিদ্ধান্ত হলো- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জাতির পিতা। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কর্মীসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য-সম্বলিত উদ্ভট যুক্তি প্রদান করেন। তিনি জাতির জনককে নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা করেছেন। তার ইচ্ছাকৃত ইতিহাস বিকৃতির এই বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি তৈরির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে। আরও বলা হয়, তিনি তার আলোচনায় মনগড়া ভিত্তিহীন আক্রমণাত্মক তথ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশের বাঙালি জাতির পিতাকে নিয়ে অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে গুজব সৃষ্টিকারী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply