ঢাকা অফিস ॥ ঋণ প্রদানে তিন ব্যাংকে অনিয়মের ঘটনা খতিয়ে দেখতে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক ইতোমধ্যে ওই তিন ব্যাংকের (ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক) তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে সেগুনবাগিচায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্র“পের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় অর্থ পাচার হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে দুদক ও বিএফআইইউ’র তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছেন ৫ জন আইনজীবী। এ বিষয়ে দুদকের পদক্ষেপ জানতে চাইলে সচিব বলেন, চিঠি আমার হাতে এখনো পৌঁছায়নি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংবাদটি পাওয়ার পরে যাতে অনুসন্ধান শুরু করা যায় সেই লক্ষ্যে তথ্য, উপাত্ত সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হলে কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ঋণ প্রদানে ব্যাংকগুলো অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। নানা উপায়ে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ বের করে নেওয়ার তথ্য তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৭ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ও বাকি অর্থ সোশ্যাল ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয়। যেসব কোম্পানির নামে এসব ঋণ বের করা হয় তার মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ঋণ নিয়েছে। যেগুলো মূলত নামসর্বস্ব কোম্পানি। এ রকম নামসর্বস্ব দুই কোম্পানির নামে ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে নেওয়া হয় দুই হাজার কোটি টাকা।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply