ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ একজন পারিবারিক কারণে এই সিরিজে নেই। আরেকজন এখন জাতীয় দল বা বিসিবি থেকেই বেশ দূরে। কিন্তু দুজনই মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে আপনজন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ম্যাচ জেতানো বোলিংয়ের পর এই অফ স্পিনার বললেন, দেশের দুই কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও সোহেল ইসলামের সংস্পর্শে নিজেকে শাণিত করেছেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে রোববার ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়ে মিরাজের প্রাপ্তি ৪ উইকেট। নতুন বল হাতে দলকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তিনি। পাওয়ার প্লের ভেতর ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ১১। পরে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে ভেঙে দেন লঙ্কান ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ড। প্রতিপক্ষের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের চারজন তার শিকার। ম্যাচের পর প্রতিক্রিয়ায় মিরাজের কণ্ঠে উঠে এলো দেশের পরিচিত দুই কোচের কথা। বিসিবির কোচ সোহেল ইসলাম জাতীয় দলের স্পিন কোচ হিসেবে গিয়েছিলেন গত শ্রীলঙ্কা সফরে। এবার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য এই সিরিজে তাকে পাচ্ছে না দল। তবে মিরাজ তাকে ঠিকই পেয়েছেন কাছাকাছি। “ আমি তো বোলিং করছি নেটে এবং দেশের যে কোচ আছে আমার, তার সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখার করি। খেলার আগে তার সঙ্গেই কথা বলেছি, কিভাবে কি করলে ভালো হয়-সোহেল স্যার।” “সোহেল স্যার সবসময় আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। শ্রীলঙ্কায় করেছেন, দেশে ফেরার পরও। আমি সবসময় ওঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি।” মিরাজ বললেন আরেক কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কথাও। দীর্ঘদিন বিসিবিতে কাজ করে এখন যিনি বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা। তবে যে কোনো বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের ভরসার জায়গা তিনি। মিরাজ জানালেন, দূরে থেকেও এই কোচ তাদের কতটা কাছের। “আরেকটা ব্যাপার যে, ফাহিম স্যার আমাকে ফোন করেছিলেন তিন-চার দিন আগে, তিনিও কথা বলেছেন। এর আগে যখন শ্রীলঙ্কায় টেস্ট ম্যাচ খেলছিলাম, তখন থেকেই তিনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন রকম কথা বলছিলেন বোলিং নিয়ে এবং আমাকে অনুপ্রাণিত করছিলেন, কিভাবে কি করলে ভালো হয়।” “তারা আমাকে খুব ভালো গাইড করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি, সেই গাইডলাইন মেনে করার জন্য।”
You cannot copy content of this page
Leave a Reply