1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :

দৌলতপুরের চৌধুরী পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ১ মার্চ, ২০২৩

 

বিশেষ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে চৌধুরী পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। দৌলতপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে সুসংগঠিত করণে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব  রেজাউল হক চৌধুরীর যেমন উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ঠিক তেমনি অবদান রয়েছে তার ছোটো ভাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ  টোকেন চৌধুরীর। তিনি একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ। আওয়ামীলীগের দুর্দিনেও তিনি যেভাবে কাজ করে গেছেন, বর্তমানেও দৌলতপুর আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন টোকেন চৌধুরী। রেজাউল হক চৌধুরীর আরেক ভাই হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে পরপর দুইবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং তিনি নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদী কিছু নেতা নামধারী ব্যক্তি বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চৌধুরী পরিবারকে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা কয়েকটি গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে  চৌধুরী পরিবারের নামে যে মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে সেটা নিয়ে দৌলতপুরের সাধারণ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছে, বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরী যেহেতু দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীদের আশ্রয়স্থল নামে পরিচিত। বিভিন্নভাবে মিথ্যা ষড়যন্ত্র করে এই উপজেলাতে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করে বিএনপি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তাই আওয়ামী লীগ নামধারী সুবিধাবাদী একটি চক্র টোকেন চৌধুরী ও তার পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, দৌলতপুরের জামায়াত-বিএনপি জোটের সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড রুখে দেওয়া ও তাদের মোকাবেলা করার মত  দৌলতপুরে একমাত্র টোকেন চৌধুরী ছাড়া আর কারো সাংগঠনিক অবস্থান নেই। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার কারণে এখন পর্যন্ত দৌলতপুরে বিএনপি-জামায়াত  কোনরকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাতে করেনি। এমনকি ২০০১ সাল পরবর্তী সময়েও  দৌলতপুরের আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছিলেন এই চৌধুরী পরিবার। পরবর্তী ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরে এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে প্রায় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল। ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রেজাউল হক চৌধুরী এমপি নির্বাচিত হয়। তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার ছোট ভাই বুলবুল আহমেদ টোকেন  চৌধুরী রাত-দিন নিরলসভাবে পরিশ্রম করে এই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন। বানিয়েছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে এই চৌধুরী পরিবারকে নৌকার কান্ডারী হিসেবে দেখতে চাই আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। উল্লেখ্য, দৌলতপুরের সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে যুবলীগের একাধিক নেতাকর্মীর সাথে কথা হলে তারা বলেন- দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের হাজারও নেতা কর্মির প্রাণের স্পন্দন চৌধুরী পরিবার। সেই পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করতে উঠে-পড়ে লেগেছে জামায়াত-বিএনপি’র এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী একটি কুচক্রি মহল। কারণ আওয়ামী লীগ, কৃষকলীগ, যুুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ সহযোগী সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে বুলবুল আহমেদ টোকেন চৌধুরীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের সতর্ক করে তারা বলেন- কোন ষড়যন্ত্র করেই চৌধুরী পরিবারকে দমানো যাবে না। চৌধুরী পরিবারকে দমানোর জন্য যে কুচক্রী মহলটি জামায়াত-বিএনপির চামচামি করছে তাদের রাজপথেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার হুশিয়ারি দেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা।

 

Please Share This Post in Your Social Media

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Site Customized By NewsTech.Com