দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে মুসলিম রীতি না মেনে ঢোল বাজিয়ে নেচে গেয়ে মো. রাব্বি হোসেন (১৭) নামে এক মুসলিম কিশোরের লাশ দাফন করেছে ভন্ড ফকির শামীম রেজা। রবিবার রাতে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামে ইসলামধর্ম বিরোধী এ ঘটনা ঘটেছে। এমন ধর্মীয় রীতিতে আঘাত হানার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দৌলতপুরসহ সর্বত্র সমালোচনার ঝড় বইলেও প্রশাসরে পক্ষ থেকে এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিল পশ্চিম-দক্ষিণ ফিলিপনগর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মো. রাব্বি হোসেন। বাবার সঙ্গে রাব্বি রাজধানীর ফুটপাতে হকারি করতো। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঈদের আগে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন তারা। রবিবার বিকেলে নিজ বাড়িতে রাব্বি’র মৃত্যু হলে পিতা মহাসিন আলী তার ছেলের মরদেহ একই এলাকার ভন্ড ফকির শামীম রেজার হাতে তুলে দেয়। পরে ফকির শামীম রেজার অনুসারীরা মুসলিম ধর্মীয় রীতি না মেনে ঢোল বাজিয়ে নেচে-গেয়ে রাব্বির মরদেহ শামীম রেজার আস্তানার পাশে সমাহিত করে। এদিকে ঢোল বাজিয়ে নেচে গেয়ে মুসলিম কিশোরের দাফনের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে দৌলতপুরসহ সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় এবং ইসলাম ধর্ম বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত ভন্ড ফকির শামীম রেজার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভন্ড ফকির শামীম রেজা ফকির গোলাম এ বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরীর অনুসারী। নিজ বাড়িতে তার একটি আস্তানাও রয়েছে। ভক্ত অনুসারীদের নিয়ে তিনি সেখানেই সময় কাটান। গোলাম এ বাবা কালান্দার জাহাঙ্গীর সুরেশ্বরী অনুসারীদের কেউ মারা গেলে নেচে গেয়ে তার মরদেহ দাফন করা হয়। ইসলামধর্ম রীতি বিরোধী কর্মকান্ডের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন- বিষয়টি দৌলতপুর থানার ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply