নিজ সংবাদ ॥ কুরবানীর ঈদ আসন্ন তাই কুষ্টিয়ার সর্বত্র খামারী ও কৃষকদের বাড়িতে বাড়িতে কোরবানীর পশুর দেখা মিলছে। করোনা তাই কপালে চিন্তার ভাজ সকলেরই। প্রতি বছর এমন সময় ঈদের পশু কেনার হিড়িক পড়ে যেত কিন্তু হাতে বাকী ১৪ দিন বেচাকেনা এখন শুরুই হয়নি। আবার রয়েছে সকল পশুরহাটে পশু বেচা-কেনা বন্ধ। তার পরেও বুক ভরা আশা নিয়ে জেলার গো-খামারী ও কৃষকেরা চাতকের পাখির মত তাকিয়ে আছে।
আর কয়েক দিন পর থেকেই কোরবানীর পশু কেনা বিক্রি শুরু হবে। জেলার দৌলতপুর উপজেলায় এবারো রেকর্ড পরিমান গরু ও ছাগল কোরানী উপলক্ষে বেচাকেনার অপেক্ষায় রয়েছে। এবার এলাকায় বড় গরুর চেয়ে মাঝারাী ও ছোট গরু আমদানী অনেক বেশি। উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের দীঘলকান্দী নতুন ঝাউদিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমানের বাড়িতে বেশ কয়েকটি গরু লালন পালন করা হয়েছে ঈদকে সামনে রেখে। এর মধ্যে ৫টি বড় আকারে গরুর এলাকার মানুষের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে। এই গরুর মধ্যে রয়েছে আমেরিকার ব্রাহামা জাতে গরু রয়েছে। মতিয়ার রহমান জানান- আমার নিজস্ব খামার ‘এম আর এস এগ্রোফার্ম’এ লাল ও কালো রংয়ের বড় গরুর ওজন ১৩২০ কেজি। যার মুল্য ৩ লাখ ৯৬হাজার টাকা, আমেরিকার ব্রাহামা জাতের লাল গরুর ওজন ৯৬০ কেজি দাম ২লাখ ৮৮হাজার টাকা। আরো বিভিন্ন মুল্যের গরু রয়েছে। তিনি জানান-গরুগুলো দেখতে এলাকার মানুষেরা সেখানে ভিড় করছে। অনেক এলাকার ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা গরু কিনতে বাড়িতে আসছে তবে কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় গরুগুলো বিক্রি করতে পারছিনা। তিনি জানান-এবার এলাকায় প্রচুর দেশী গরু রয়েছে। সীমান্তে ভারতীয় গরু প্রবেশরোধ করতে পারলে দেশীয় গরুর মালিকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। আগ্রহীরা গরু ক্রয়ের জন্য মতিয়ার রহমানের ০১৭১১-৯৭৬৩৬৯ নম্বরে যোগাযোগ করুন।