দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ হঠাৎ করেই পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সারা দেশের ন্যায় ক্ষুব্ধ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ভোক্তারাও। তবে মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ হওয়ায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। পাইকার পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এখনও প্রায় বাড়তি দামই রয়েছে। গতকাল সোমবার তারাগুনিয়া বাজার পেঁয়াজের আড়তে পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮২ টাকা থেকে ৯০ টাকা দরে ক্রয় করলেও একই পেঁয়াজ হাত বদল হয়ে ভোক্তাদের ক্রয় করতে হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০টাকা পর্যন্ত। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। তাদের দাবি বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে এভাবেই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে ক্রেতাদের পকেট কাটতে থাকবে। এদিকে পেঁয়াজ চাষীরা বাড়তি লাভের আশায় অপরিপক্ক পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে উত্তোলন করে পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করছেন। তবে সে অর্থে তারা লাভের মুখ দেখছেন না। গতকাল পেঁয়াজ চাষীদের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০টাকা থেকে ৮০টাকা দরে পাইকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করতে দেখা গেছে। এবছর পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ন্যায্য মূল্য না পেলে আবার তাদের লোকসান গুনতে হবে বলে জানিয়েছেন পেঁয়াজ চাষী নিজাম উদ্দিন সহ আরো অনেকে। এবছর জেলায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ২হাজার ৫০০হেক্টরে জমিতে। ফলনও ভাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি বিভাগ।