দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ যাবৎ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এবং আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করার পর করোনা আক্রান্ত এসব রোগীর মৃত্যু হয়। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে ২১জন। এ পর্যন্ত দৌলতপুরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩৫জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯জনের। বর্তমানে ৩৪৫জন করোনা আক্রান্ত রোগী হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল হাসান তুহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে দৌলতপুরের প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা উপসর্গ রোগী। আর এসব উপসর্গ নিয়ে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওষুধ কিনে নিজের মত করে চিকিৎসা নেয়ায় ঝুকি বাড়ছে প্রতিনিয়িত। দিন দিন রোগ পুশে রেখে একপর্যায়ে আশংকাজনক অবস্থার সৃষ্টি হলে তখন তারা ছুটে যাচ্ছে হাসপাতালে। তখন চিকিৎসকদের আর কিছু করার থাকছে না। এভাবে গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলার শেহালা নাটপাড়া গ্রামে মুফাজ্জেল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। রবিবার পাচামাদিয়া গ্রামের এক ব্যক্তিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে আশংকাজনক অবস্থায় দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। এমনিভাবে গত ১০দিনে উপজেলার বড়গাংদিয়া, খলিশাকুন্ডি, মথুরাপুর, মরিচাসহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১০জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। অবস্থা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসকদের পরমর্শ ও করোনা পরীক্ষা করে করোনার বিষয়টি নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সকলকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply