দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লকডাউনের তৃতীয় দিনে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে এবং লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অপরাধে পৃথক মামলায় ৭ জনের ২৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল শনিবার দিনভর উপজেলার রিফাইতপুর, আল্লারদর্গা, তারাগুনিয়া, হোসেনাবাদ, মথুরাপুর, দৌলতখালী, দৌলতপুর সেন্টারমোড় সহ বিভিন্ন এলাকায় সেনা সদস্যেদের উপস্থিতিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, লকডাউন চলাকালে সরকারী আদেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা ও করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে ১৮৬০ সালের দ: বি: ২৬৯ ধারায় ৭টি মামলায় ৭ জনের ২৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, লকডাউন চলাকালে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে পৃথক মামলায় ৭জনের অর্থদন্ড করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলামান থাকবে বলে তিনি জানান। দেশব্যাপী লকডাউনের তৃতীয় দিন গতকাল শনিবার দৌলতপুরেও প্রশাসন ছিল তৎপর। বিভিন্ন জনবহুল সড়কে জনসাধারণের চলাচল ছিলনা বললেই চলে। বন্ধ ছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজার ঘাট। হাট-বাজরে লোক সমাগম ছিল কম। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীর টহল টিম দৌলতপুরে সর্বত্র টহল পরিচালনা করেছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা দুই প্লাটুন বিজিবি সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিটি বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চলমান রেখেছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply