দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে এবং লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার অপরাধে পৃথক মামলায় ৭ জনের ১৮ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল রবিবার বিকেল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বড়গাংদিয়া, সেন্টারমোড়, দৌলতখালী, মশাউড়া, মথুরাপুর, হোসেনাবাদ ও তারাগুনিয়া পৃথক অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, লকডাউন চলাকালে সরকারী আদেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা ও করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় ৬টি মামলায় ৬জনের ১৪ হাজার ৫০০টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় এক ব্যবসায়ীর ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, লকডাউন চলাকালে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে পৃথক মামলায় ৭জনের অর্থদন্ড করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান। দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের চতুর্থদিন গতকাল রবিবার দৌলতপুরেও প্রশাসন ছিল তৎপর। বিভিন্ন জনবহুল সড়কে জনসাধারণের চলাচল ছিল কম। বন্ধ ছিল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজার ঘাট। হাট-বাজারে লোক সমাগম ছিল কম। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে সেনা বাহিনীর টহল টিম দৌলতপুরে বিভিন্ন এলাকায় টহল পরিচালনা করেছে। এছাড়াও সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন করা দুই প্লাটুন বিজিবি সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিটি বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চলামান রেখেছে।