শরীফুল ইসলাম ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লকডাউন চলকালে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ১৩ জনের ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া, বড়গাংদিয়া, খলিশাকুন্ডি, কাতলামারী ও দৌলতপুর থানা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার। এদিকে লকডাউনের তৃতীয় দিন গতকাল বুধবার দিনভর দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন দিনভর তৎপরতা চালিয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও দৌলতপুর থানা পুলিশ দৌলতপুরের বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি লকডাউন বিধি নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, মুখে মাস্ক ব্যবহার না করে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে ১৮৬০ সালের দ: বি: ২৬৯ ধারায় সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিধি অনুযায়ী ১৩টি মামলায় ১৩ জনের ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, করোনা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে মুখে মাস্ক ব্যবহার না করার অপরাধে ১৩ জনের অর্থদন্ড করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ও লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান চলামান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।