দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লকডাউন চলকালে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ১১ জনের ৫৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া থানামোড়, তারাগুনিয়া, হোসেনাবাদ, ডাংমড়কা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার। এদিকে লকডাউনের চতুর্থ দিন গতকালও বৃহস্পতিবার দিনভর দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন দিনভর তৎপরতা চালিয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর থানা পুলিশ দৌলতপুরের বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি লকডাউন বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। এরপর রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দৌলতপুরের বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার অভিযান চালিয়ে জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সকলকে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, মুখে মাস্ক ব্যবহার না করাসহ করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় ১১টি মামলায় ১১ জনের ৫৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে ১১ জনের অর্থদন্ড করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ও লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লে¬খ করেন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply