দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লকডাউন চলাকালে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে পৃথক মামলায় ৩ জনের ৪৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দৌলতপুর উপজেলার জয়পুর ও মহিষকুন্ডি বাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার। এদিকে লকডাউনের পঞ্চম দিন গতকাল শুক্রবারও দিনভর দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন তৎপরতা চালিয়েছে। দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন ও দৌলতপুর থানা পুলিশ দৌলতপুরের বিভিন্ন বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে জনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি লকডাউন বিধি নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্র জানায়, মুখে মাস্ক ব্যবহার না করা সহ করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে সংক্রমক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫(২) ধারায় ২টি মামলায় ২জনের ১৩ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় নাহারুল ইসলাম নামে এক বিস্কুট কারখানা মালিকের ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, লকডাউন চলাকালে করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানার অপরাধে পৃথক মামলায় ৩ জনের অর্থদন্ড করা হয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ও লকডাউন কার্যকর করতে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।