দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চতুর্থ বিয়ের অভিযোগে ইউপি সদস্য শাজাহান সরকারকে (৪০) কে গণধোলাই দিয়েছে গ্রামবাসী। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের আন্দালবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার শাজাহান সরকার একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, দিঘলকান্দি গ্রামের ইউপি সদস্য শাজাহান সরকার লক্ষীখোলা ও সেনাইকান্দিসহ ৩ গ্রামে ৩টি বিয়ে করার পর তার শ্যালকের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যায় একই ইউনিয়নের আন্দালবাড়িয়া গ্রামে। শ্যলকের পাত্রী পছন্দ না হলে কৌশলে ওই পাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে শাজাহান সরকার। প্রায় ২০দিন আগে কলেজ ছাত্রী ওই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। শুক্রবার কথিত চতুর্থ বৌ নিয়ে বাড়ি আসে শাজাহান সরকার। গতকাল দুপুরে কথিত নবধুকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গেলে বৌকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বাড়ির পাশে অবস্থান নেয় শাজাহান সরকার। এসময় এলাকার লোকজন শাজাহান সরকারের ওপর চড়াও হলে সে একটি ঘরে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ওই ঘর থেকে শাজাহান সরকারকে টেনে হেচড়ে বের করে গাছের সাথে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পার্শ্ববতী দিঘলকান্দি ক্যাম্পের পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং শাজাহান সরকারের নিজ গ্রামের লোকজনও শাজাহান সরকারের গণধোলইয়ে চরম খুশি বলে জানাগেছে। রিফাইতপুর ইউপি চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পূর্বের ৩টি বৌকে রেখে চতুর্থ বিয়ে করা নিয়ে মেয়ের গ্রামের লোকজন শাজাহান আলীকে মারপিট করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সে বাড়িতে অবস্থান করছে।