দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জানাজা নামাজে আওয়ামী লীগ নেতাদের মোবাইল ফোন চুরি ও পকেটমারের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার তারাগুনিয়া ফুটবল মাঠে নাদু মোল্লার জানাজা নামাজে মোবাইল ফোন চুরির এ ঘটনা ঘটে। এনিয়ে গতকাল দিনভর দৌলতপুরের সর্বত্র আলোচনা সমালোচনা মুখর ছিল। প্রয়াত নাদু মোল্লা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার চাচাতো ভাই। তিনি ঢাকা সিএমএইচ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার ইন্তেকাল করেন। জানা গেছে, নাদু মোল্লার জানাজা নামাজে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। জানাজা নামাজ শুরু হলে তারাগুনিয়া এলাকার পকেটমার সিন্ডিকেটের সদস্যরা নামাজের বিভিন্ন কাতারে মুসল্লিদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবির পকেটে থাকা মোবাইল ফোন চুরির পাশাপাশি পকেটে থাকা টাকাও চুরি করে নিয়ে যায়।
দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সরদার তৌহিদুল ইসলাম জানান, জানাজা নামাজ পড়তে আসার পর মোবাইলটি পকেটে রেখে দিই। নামাজ শেষে দেখি পকেটে মোবাইলটি নেই। কখন যে পকেটমার চক্রের সদস্যরা ফোনটি চুরি করে নিয়ে গেল টেরই পেলাম না। এছাড়াও ওই জানাযা নামাজে আরও যাদের মোবাইল চুরি হয়েছে তারা হলেন, ভেড়ামারা পৌরসভার সাবেক মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানা, দৌলতপুর উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, ডাংমড়কা এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগের নেতা মোখলেসুর রহমান, নাদু মোল্লার ভাতিজা সবুর মোল্লাসহ অন্তত ১০ জনের পকেট থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা চুরি করেছে সংঘবদ্ধ পকেটমারচক্র।
সাবেক মেয়র শামীমুল ইসলাম ছানা বলেন, সকালে দৌলতপুরে একটি জানাজার নামাজে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম। সেখানে নামাজ শেষ করে পাঞ্জাবির পকেটে রাখা মোবাইল খুঁজে পাচ্ছিলাম না। কিছুক্ষণ পরে হইচই শুরু হয়ে যায়। শুধু আমার মোবাইলই না, অনেকের মোবাইলই চুরি হয়েছে।
এদিকে মোবাইল চুরি হওয়ার কিছুক্ষণ পরই বিভিন্ন মোবাইল থেকে চুরি হয়ে যাওয়া নম্বরে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জরুরী সভায় থাকার কারনে তিনি কিছু জানেন না বলে তৎক্ষনাত জানান। (সংগৃহীত)
You cannot copy content of this page
Leave a Reply