দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে নিখোঁজের ৩দিন পর প্রতিবেশীর রান্না ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে আরাফাত নামে দেড় বছরের এক শিশুর লাশ। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দাড়েপাড়া গ্রামের ছপের মালের রান্না ঘর থেকে ওই শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু একই গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে। গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এ ঘটনায় ছপের মালের স্ত্রী গৃহিনী কোহিনুর (৫২) কে আটক করেছে পুলিশ। তবে ছপের মাল পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, ছপের মালের রান্নাঘর ঘর থেকে লাশের দূর্গন্ধ ছড়ালে তার স্ত্রী কোহিনুর রান্নাঘরে পুতে রান্না শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ তুলে পুনরায় মাটি খুড়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় প্রতিবেশীরা দেখে ফেলায় কোহিনুর পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে এবং কোহিনুরকে আটক করে। ধারণা করা হচ্ছে শুক্রবার সকালে শিশুটিকে অপহর করে কোহিনুর ও তার স্বামী ছপের মাল হত্যা শেষে রান্নাঘরের মাটি খুড়ে পুঁতে রাখে। তড়িঘড়ি করে সামান্য মাটি খুড়ে বস্তাবন্দি লাশ মাটির নীচে চাপা দেওয়ায় তা পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে পুনরায় লাশ তুলে মাটি খুড়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল কোহিনুর।
শিশুর লাশ উদ্ধারের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, ৩দিন আগে নিখোঁজ হওয়া আরফাত নামে দেড় বছরের শিশুর বস্তাবন্দি লাশ প্রতিবেশী ছপের মালের রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় ছপের মালের স্ত্রী কোহিনুরকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। উদ্ধার হওয়া শিশুর লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে শিশু আরাফাত শুক্রবার নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে দৌলতপুরের সর্বত্র মাইকযোগে প্রচার করা হয় এবং নিখোঁজ শিশু উদ্ধার দৌলতপুর থানায় জিডিও করা হয়েছিল। দেড় বছরের শিশুকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনায় এলাকাবাসী শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে এবং ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply