দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৭জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৪জনকে আটক করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পুড়াসলুয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, রনজিত মালিথা জমিজমা সংক্রান্ত পাওনা টাকা চাইতে যায় দেলোয়ার মন্ডলের কাছে। এসময় দেলোয়ার মন্ডল টাকা না দিয়ে উল্টো রনজিত মালিথাকে মারধর করে। পরে রনজিত মালিথার লোকজন সংগবদ্ধ হয়ে দেলোয়ার মন্ডলের লোকজনের ওপর হামলা চালালে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও বাড়ি-ঘর ভাংচুরের তান্ডবলীলা চলে। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে এক নারী সহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭জন আহত হলে লিটন (৩৫), নার্গিস (৩৬), দেলেয়ার (৫৮), ছামেদ (৪০) কে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়া লিটনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ছামেদ, উম্বর, গিয়াস, জাহাঙ্গীর, আদালত ও লিয়াকত আলীর বাড়ি সহ ৮-১০টি বাড়ি-ঘর ও একটি মুদি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একতার, আশরাফুল, ইমরান ও নাইম নামে ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়েছে। পিয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। রনজিত মালিথা জমি সংক্রান্ত পাওনা টাকা চাইতে গেলে দেলেয়ার মন্ডল তাকে মারধর করে। পরে রনজিত মালিথারা সংঘবদ্ধ হয়ে দেলোয়ার মন্ডলের লোকজনের ওপর হামলা চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে ৭জন আহত হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আশংকাজনক অবস্থায় লিটনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে অন্তত ৮-১০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইন্সপেক্টর শফিক জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত ৪জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে থাকলে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply