নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার জয়রামপুর এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘কিশোর গ্যাং’। উদ্ভট সব নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলছে তারা। এরই মধ্যে এদের সংশ্লিষ্টতায় সন্ত্রাসী গ্র“পের তৎপরতা ভয়াবহ ও বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। পাড়া-মহল্লা ছিঁচকে সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ধনাঢ্য পরিবারের ধনীর দুলাল, এমনকি স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও এসব বাহিনীতে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের হাতে হাতে এখন দেশি অস্ত্রের ছড়াছড়ি; রয়েছে অত্যাধুনিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও। সরজমিনে গিয়ে খোজ নিয়ে দেখা যায় ‘কিশোর গ্যাং’ এর সদস্য মনোজ, মুহিন, ছোটন, রিগ্যান, তানভীর,সেতু। সম্প্রতি সৈকত মোল্লার প্রধান সহযোগী মনোজ অস্ত্র সহ গ্রেফতার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে সৈকত মোল্লা। এরা সবাই জয়রামপুরের বাসিন্দা। কিশোর অপরাধীদের বেশিরভাগই মাদকসেবী। গ্র“পের সদস্যরা ছিনতাই, চাঁদাবাজি,মাদক বিক্রি,ইভটিজিং, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগ রয়েছ এসব কর্মকান্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়রামপুর মোল্লাপাড়ার বিএনপির ক্যাডার স্বপন কানার ছেলে একাধিক মাদক ও ছিনতাই মামলার আসামী সৈকত মোল্লা। এই কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে ঐ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেদককে জানান ঐ বাহিনী সন্ধার পর এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়,এলাকার মানুষ কোথাও অভিযোগ দিতে গেলে তাদের হত্যার হুমকি দেয়,যার ফলে কেউ কোথাও কোনো অভিযোগ দিতে পারছে না। জয়রামপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, স্বপন মোল্লার ছেলে সৈকত মোল্লা কিশোর গ্যাং মূলহোতা। সৈকতের নেতৃত্বে জয়রামপুরে চলে মাদকের রমরামা ব্যবসা ও ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম। কিছু দিন আগে মথুরাপুর স্কুলের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিস্তল নিয়ে তাড়া করেছিলো সৈকত মোল্লা। এলাকাবাসীর দাবী এলাকার মানুষ যেনো শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এর দৃষ্টি আকর্ষণ ও দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিনীত অনুরোধ করেছেন এলাকাবাসী।