দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ১০ বছরের এক শিশুর শ্লীলতাহানি ও যৌন নির্যাতনের ঘটনার ৮ দিন পর গতকাল রবিবার দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে। তবে যৌন নির্যাতনকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মাতুব্বরা নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করেছে। নির্যাতিত পরিবার তাতে রাজি না হওয়ায় পুলিশের স্মরনাপন্ন হলে দৌলতপুর থানা পুলিশ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মধ্যবাজার এলাকার শামসুল মালিথার ছেলে মেহেদী হাসান টাইগার (৪০) গত ১৫ মে বিকেল ৫টার দিকে একই এলাকার আশরাফুল মালিথার ১০ বছরের শিশু কন্যাকে কৌশলে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিকের দোকান ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি ও যৌন নির্যাতন চালায়। এসময় শিশুটির চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে লম্পট টাইগার পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী শামসুল আলম ও তার লম্পট ছেলে টাইগার হুমকি ধামকি দিয়ে নির্যাতনের শিকার শিশুর পরিবারকে গ্রাম্য সালিশে মিমাংসার চেষ্টা করে। তারা মিমাংসায় রাজি না হওয়ায় নির্যাতিত পরিবারকে সশস্ত্র প্রহরায় রেখে বাড়ির বাইরে যেতে বাঁধা দেয় শামসুল আলম ও তার লোকজন। দরিদ্র ও অসহায় নির্যাতিত পরিবার প্রাণভয়ে তারা থানায় যেতে ভয় পায়। পরে ঘটনাটি দৌলতপুর থানা পুলিশ অবগত হওয়ার পর তদন্তে গেলে লম্পট টাইগার পালিয়ে যায়। পুলিশের আশ্বাসে নির্যাতিত শিশুর মা জুলেখান খাতুন দৌলতপুর থানায় এজাহার দিলে গতকাল সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয় যার নং ৪২। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি (তদন্ত) শাহাদত হোসেন জানান, মথুরাপুর মধ্যপাড়ার ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামী মেহেদী হাসান টাইগারকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে। তবে অভিযান চলমান রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply