দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারত ভূখন্ড থেকে রাশিদা খাতুন (৪০) নামে বাংলাদেশী নারীর লাশ উদ্ধার হওয়ার ৪দিন পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ১৫১/১৪ (এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন ভারতের চরমেঘনা সীমান্তে বিজিবি’র নিকট লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ। এসময় বিজিবি’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ৪৭বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ প্রাগপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আমাজাদ হোসেন, দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান জিয়া ও নিহত রাশিদা খাতুনের পিতা আব্দুল কাদের এবং বিএসএফ’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চরমেঘনা বিএসএফ ক্যাম্পের অধিনায়ক এসি বিমল কুমার, করিমপুর থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর মো. ওমর ফারুক, ইন্সপেক্টর (ওসি) পিন্টু সরকার ও হোগলবাড়িয়া থানার এসআই কৌশিক কুমার শাহ্। নিহত রাশিদা খাতুনের লাশ বাংলাদেশে নেওয়ার পর তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে বিজিবি। উলে¬খ্য, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার বিলগাথুয়া-জয়পুর সীমান্তের ১৫১/৭(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন ভারত ভূখন্ডের কুড়মিপাড়া ভাদ্রিখোলা সীমান্ত এলাকার ধানখোলার পাশে নিহত বাংলাদেশী নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভারতের হোগলবাড়িয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে হোগলবাড়িয়া থানা পুলিশ নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর জেলা সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহত নারীর লাশ ফেরত চেয়ে বিএসএফ’র নিকট পত্র প্রেরণ করে বিজিবি। ঘটনার ৪দিন পর গতকাল বিকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে রাশিদা খাতুনের লাশ ফেরত দেয় বিএসএফ। স্বামী পরিত্যক্তা রাশিদা খাতুন দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গুড়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে এবং সে মৃগি রোগ সহ মানষিক রোগে আক্রান্ত ছিল। তবে তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে বা কিভাবে মারা গেছে তা জানা যায়নি। গত শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাশিদা খাতুন আর বাড়ি ফিরেনি বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে। এদিকে বিকেল সাড়ে ৪টায় গুড়ারপাড়া কবরস্থানে রাশিদা খাতুনের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply