দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারত ভূখন্ড থেকে রাশিদা খাতুন (৪০) নামে বাংলাদেশী এক নারীর লাশ উদ্ধার হলে সে লাশের অপেক্ষায় রয়েছে পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারতের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার কুড়মিপাড়া ভাদ্রিখোলা সীমান্ত এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী পরিত্যক্তা নিহত ওই নারী দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গুড়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে এবং সে মৃগি রোগসহ মানষিক রোগে আক্রান্ত ছিল। তবে তাকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে বা কিভাবে মারা গেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনার ৩দিন পার হলেও লাশ ফেরত না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা উদ্বেগ উৎকন্ঠার সাথে লাশের অপেক্ষায় রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, দৌলতপুরের বিলগাথুয়া-জয়পুর সীমান্তের ১৫১/৭(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন ভারত ভূখন্ডের কুড়মিপাড়া ভাদ্রিখোলা সীমান্ত এলাকার ধানখোলার পাশে নিহত বাংলাদেশী নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভারতের হোগলবাড়িয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে হোগলবাড়িয়া থানা পুলিশ নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কৃষ্ণনগর জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, রাশিদা খাতুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার সন্ধান না পাওয়ায় রবিবার সন্ধ্যায় নিহত ওই নারীর ছবি দেখে আব্দুল কাদেরের পরিবার জানতে পারে ভারতের পুলিশের হাতে উদ্ধার হওয়া ওই নারীর লাশ রাশিদা খাতুনের। পরে তার লাশ ফেরতের বিষয়ে বিজিবি’র সাথে যোগাযোগ করে পরিবারের লোকজন। নিহত বাংলাদেশী নারীর লাশ ফেরতের বিষয়ে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনস্থ প্রাগপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আমজাদ হোসেন জানান, নিহতের লাশ সনাক্তের বিষয়ে দুই দেশের থানা পুলিশের মধ্যে যোগাযোগ ও কাগজপত্র যাচাই শেষে লাশ ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত হবে। লাশ ফেরত দিলে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply