তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, একই নামের দুইজন রোগীর একইদিন ছাড় হওয়ায় ভুলবশত এমন ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানার পর সমাধানের পথ খুঁজছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীননাথপুর গ্রামের মনিরুজ্জামানের স্ত্রী রহিমা বেগম গত দুইদিন আগে পেটের পীড়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সোমবার দুপুরে তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। এজন্য তার হাতে ‘রহিমা’ নামের একটি ছাড়পত্রসহ প্রেসক্রিপশনও দেয়া হয়। ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর ওষুধের সঙ্গে প্রেসক্রিপশনের মিল না পাওয়ায় হতবাক হন তিনি ও তার স্বজনরা। পরে বুঝতে পারেন যে হাসপাতাল থেকে দেয়া ছাড়পত্রটি অন্য রহিমার।
অপরদিকে দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের মাহির উদ্দীনের স্ত্রী রহিমা বেগম ডায়াবেটিস ও কিডনী জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ১১ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাকেও সোমবার ছেড়ে দেয়ার অনুমতি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার হাতেও ধরিয়ে দেয়া হয় ‘রহিমা’ নামের একটি ছাড়পত্র ও প্রেসক্রিপশন। তবে রাতে তিনি বাড়িতে যাওয়ার আগেই বিষয়টি বুঝতে পেরে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের নার্সদের জানান। পরে তাকে সমাধানের জন্য ডাকা হবে বলে জানিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়।
এদিকে দীননাথপুর গ্রামের রহিমা খাতুন বলেন, ১৫ বছর ধইরা কিডনির অসুখ। তারপর যদি অন্যের ওষুধ খাইতাম তাইলে তো আরো অসুস্থ হয়ে যাইতাম। আমরা মূর্খ মানুষ। এতো কিছু তো বুঝিনা। হাসপাতাল থেকে যে কাগজ দিছে ওটাই দ্যাখায়ে দোকান থেকি ওষুধ কিনছি।
সেসময় দায়িত্বে থাকা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্টাফ নার্স সাবিনা খাতুন বলেন, ছাড়পত্রের সময় আমি সুপারভাইজারের কক্ষে ছিলাম। সেখানে নাসরিন নামে এক সেবিকা এমন ভুল করেছে বলে শুনেছি। অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম বলেন, আমি এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি। দুই রোগীর একই নাম হওয়ার কারণে একজনের ছাড়পত্র আরেক রোগীর কাছে গেছে। এটি আসলেই দুঃখজনক ঘটনা। দুই রোগীকে খবর দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে আসলে সমাধান করা হবে।