নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়া দৌলতপুরে আগামী ২৮ নভেম্বর ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। প্রশাসন বলছেন ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। গত ১১ নভেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষে সব মিলিয়ে ১৪ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮৯ জন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যে এলাকায় ভোটের আমে সৃষ্টি হয়েছে। ১৪টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মাঠে আছেন ১৪ জন, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিদ্রোহী প্রার্থী মোট ২৩ জন। মশাল প্রতীক নিয়ে জাসদের প্রার্থী আছে ৭ ইউনিয়নে। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আছে ৫ ইউনিয়নে। নির্বাচনে না আসার দলীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকলেও স্বতন্ত্র প্রতীকে ১৪টি ইউনিয়নের ১৩ টিতেই প্রার্থী আছে বিএনপির। দল-মত-নির্বিশেষে তারা ভোট চাইছেন নিজেদের স্বতন্ত্র প্রতীকে।
গতবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১৪টি ইউনিয়নেই নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। যাদের অনেকেই নানা দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগে সমালোচিত ভোটারদের কাছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যানের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর। পুনরায় ওই ১৪ জনের হুবহু মনোনয়নের পর সেই সব সমালোচনা- অভিযোগের সাথে যোগ হয় নিজ দলের শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে ইউনিয়নগুলোতে ভোটারদের কাছাকাছি সবচেয়ে বেশি থাকছেন উপজেলার মোট ৭৯৮ মেম্বার পদপ্রার্থী। এর মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনে ১৭৮ জন প্রার্থী আছেন। প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরোধিতা চরমে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী সহিংসতা ও প্রতিপক্ষের প্রচার কাজে বিরোধিতার খবর পাওয়া গেছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তথ্য রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন থাকবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত, মোবাইল টিম, ষ্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য পুলিশ প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। তাছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার ও পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply