নিজ সংবাদ ॥ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের এএসআই সৌমেন রায় বলেছেন, তাঁর স্ত্রী আসমার সাথে শাকিলের সর্ম্পক ছিল। এজন্য তিনি তাঁর স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। রোববার ভোরে তিনি খুলনা থেকে বাসযোগে কুষ্টিয়ায় আসেন। এসময় তিনি তার পিস্তল ও দুইটি ম্যাগজিন বার রাউন্ড গুলি সাথে নিয়ে আসেন। যদিও পিস্তল গুলি সরকারি কাজে শুধুমাত্র নিজ দায়িত্ব এলাকার বাইরে নিয়ে যেতে পারেন না।
সৌমেন পুলিশকে জানিয়েছে, সকালে কুষ্টিয়া শহরের বাবর আলী গেটে আসমার মায়ের বাসায় পৌছায়। এর আগে রাতেই আসমাকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া শহরে আসার কথা বলেছিল। সকালে আসমা ও তার ছেলেকে নিয়ে খুলনা যাবার কথা বললে আসমা তার সাথে যেতে অস্বীকার করেন। আসমা তাকে জানায়, তার সাথেও সম্পর্ক রাখবে না, এমনকি শাকিলের সাথেও না। এসময় শাকিলকে ফোনে শহরের কাস্টমসমোড়ে আসতে বলে। এদিকে সৌমেন তার স্ত্রী ও আসমার ছেলেকে রিকশা যোগে কাস্টমসমোড়ে পৌছায়। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রথমে শাকিলকে গুলি করে। এরপর আসমাকে গুলি করে। এসময় রবিন দৌড়ে পালাতে গেলে তাকেও গুলি করে। একটি ম্যাগজিনের গুলি শেষ হয়ে গেলে আরেকটি ম্যাগজিন ব্যবহার করে। পুলিশ তাজা তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল ও দুটি ম্যাগজিনও জব্দ হয়েছে। রাতে তাকে কুষ্টিয়া ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সোমবার কোন সময় তাকে আদালতে নেওয়া হতে পারে। গতকাল রাত নয়টায় এসব তথ্য দিয়েছেন কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেন খাঁন।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply