ঢাকা অফিস ॥ বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক চুক্তির আলোচনায় দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও ‘অস্থিতিশীল’ আচরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে ফের আহ্বান জানিয়েছে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো। সম্ভাব্য পারমাণবিক চুক্তি থেকে এ দুটি প্রসঙ্গ বাদ পড়লে তা বিপজ্জনক হতে পারে বলে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে শনিবার ভিয়েনায় বিশ্ব শক্তিগুলো ও ইরান ষষ্ঠ রাউন্ডের আলোচনায় প্রবেশ করেছে। এর আগে তাদের উদ্বেগ আমলে না নেওয়ার জন্য সৌদি আরব ও তার মিত্ররা চুক্তিটির বিরোধিতা করেছিল আর পরে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। পূর্বসূরী ট্রাম্পের ছেড়ে আসা চুক্তিটি ফের কার্যকর করতে চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে নিজেদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হওয়া তেহরান চুক্তিতে অন্য কোনো ইস্যু অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধিতা করে আসছে। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এক বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে কঠোর বিধিনিষেধসহ দীর্ঘ সময়ের জন্য একটি চুক্তি করতে বিশ্ব শক্তিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা ও আরও সংঘাত ঠেকাতে চুক্তিটিকে ‘আস্থা তৈরি করার মতো বাস্তব পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত’ করারও আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেছেন, তেহরানের সঙ্গে এই বৈশ্বিক আলোচনায় উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। উপসাগরীয় আরব দেশগুলো ‘সুপ্রতিবেশীসুলভ ও পারস্পরিক সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধার ভিত্তিতে তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচীর সঙ্গে গুরুত্ব সহকারে ও কার্যকরভাবে সহযোগিতা ও লেনদেন’ করতে প্রস্তুত বলে বিবৃতিতে বলেছেন তারা। রয়টার্স জানিয়েছে, বিবৃতিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও আঞ্চলিক মিত্রদের দেশটির সমর্থন দেওয়ার বিষয়টিকে ‘পারমাণবিক চুক্তি থেকে আওতা থেকে পৃথক করার বিপদ’ এর বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সুন্নি মুসলিম দেশ সৌদি আরব ও শিয়া মুসলিম দেশ ইরান ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তেজনা হ্রাসের লক্ষ্যে দেশ দুটি ইরাকে পরস্পরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। পুরো মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে আছে। এগুলোর মধ্যে ইয়েমেনে রিয়াদের নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোটের সঙ্গে ইরান সমর্থিত হুতি মুভমেন্টের ছয় বছর ধরে চলা লড়াই অন্যতম।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply