বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার পাহাড়পুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৩ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করা হয়। সোমবার (৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের পাহাড়পুর গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন একই এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), আমিরুলের ভাই আজব আলী (৪৬) ও আতা সেখের ছেলে আবুল কাশেম (৫০)। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ কটা মেম্বারের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলামের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে চাপড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ কটা মেম্বারের নেতৃত্বে তার দুই ভাই জাফর হোসেন, ফরিদ বিশ^াস ও ছেলে তানভির আহম্মেদ উৎসবসহ তার দলবল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমিরুল ইসলামের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় আমিরুল ইসলাম ঘর থেকে বের হয়ে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ফিরোজ আহম্মেদ কটা মেম্বর সাথের লোকজনদের আমিরুলকে মেরে ফেলতে বলে। কটা মেম্বারের হুকুম পাওয়া মাত্রই সাথে থাকা সংঘবদ্ধ লোকজন আমিরুলকে এলোপাতারীভাবে কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলে আমিরুলের ছোটভাই আজব আলী ও চাচাতো ভাই আবুল কাশেম এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতারীভাবে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা আমিরুলের বোন জামাই হাবিব হোসেনের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এলাকাবাসীরা জানায়, পাহাড়পুর এলাকায় ফিরোজ আহম্মেদ কটা মেম্বার হট্টগোল সৃষ্টি করে এলাকায় লুটপাট করে। ফিরোজ আহমেদ কটা মেম্বারের ঐ এলাকার একই পরিবারের ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যার আসামী। এছাড়াও আলোচিত প্রবাসী হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রকিবুল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর জেল থেকে বেড়িয়ে ফিরোজ আহম্মেদ কটা মেম্বারের সাথে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ আহম্মেদ কটার বিরুদ্ধে ৮টি মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নং কুমারখালী থানার জি.আর নং -১০৪ তারিখ ১৮ মে ২০১৭ইং, কুমারখালী থানার জি.আর নং-৪৯ তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭, কুমারখালী থানার জি.আর নং -৪০ তারিখ মার্চ ২০১৭ ইং, কুষ্টিয়া সদর থানার জি,আর নং -৩৯৭ তারিখ ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং, কুষ্টিয়া সদর থানার জি,আর নং- ৩৭২ তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং, কুষ্টিয়া সদর থানার জি.আর নং-১৭০ তারিখ ১৫ জুন ২০১৫ ইং, কুষ্টিয়া সদর থানার জিআর নং-২৪৯ তারিখ ২০ জুন ২০১৩ ইং, কুমারখালী থানার জি.আর নং-২০ তারিখ ১২ ফেব্র“য়ারী ২০১১ ইং এবং আলোচিত জোড়া মার্ডারের অন্যতম আসামী ছিলেন ফিরোজ আহম্মেদ কটা মেম্বার। যার মামলা নং-কুমারখালী থানার জি.আর নং- ৬৭, তারিখ ২০২০ ইং। এ বিষয়ে জানতে ফিরোজ আহম্মেদ কটা’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের প্রস্তুতি চলছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply