নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় ‘বিধিনিষেধ’ আর ‘কঠোর লকডাউনের’ কারনে মধ্যবিত্ত আর নিম্মমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজনের কষ্টের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ, চাকুরীহারা কর্মক্ষেত্রের পরিসরগুলো ক্ষীন হয়ে পড়েছে এমতাবস্থায় আবারো জেলায় লকডাউনের ঘোষনা! জীবন বাঁচাতে লকডাউনের কোন বিকল্প নেই কথাটি মূল্যবান তবে কর্মহীন ও স্বল্প আয়ের মানুষের যখন কর্ম বন্ধ হয়ে যায় তখন কতদিনই বা এভাবে চলবে? মানুষতো আর একা নয়, পরিবার পরিজন নিয়ে সকলকে চলতে হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে বেকার ঘরে বসে থাকে তখন এর প্রভাব কোথায় যেয়ে পড়ে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কুষ্টিয়ায় ৭দিনের কঠোর লকডাউন শেষ হলো। আবারোও ৩ দিনের লকডাউনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাছাড়া আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে এক সাথে ‘শার্টডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে অনেক মানুষকে ঘর থেকে বের হতে দেখা গেছে। ঘর থেকে বের হওয়ায় মানুষদের বেশ কয়কেটি পয়েন্টে পুলিশী বাঁধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। বিশেষ করে মজমপুর গেট এলাকায় পুলিশের তৎপরতা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে। মজমপুর গেটের এপার থেকে হেটে হেটে আবার অন্য পারে যেয়ে রিকসা বা অটো রিকসায় উঠে যেতে দেখা গেছে। আবার কিছু দুর যেয়ে পুলিশের বাঁধার সম্মুখিন হয়ে আবারো পায়ে হেটে চলাচল করতে দেখা গেছে। পুলিশের বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে কর্মজীবিদের। শুধু বেসরকারী নয় সরকারী অফিসের কর্মকর্তা আর কর্মচারীরাও এই বিড়ম্বনার বাইরে ছিল না। সরকারী প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড প্রদর্শন করেও অনেককে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। এদিকে সরকারী আইন ভঙ্গ করে প্রতিটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় সড়কে মানুষজনের উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পুলিশী কঠোর পদক্ষেপেই মানুষজনের গতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। শহরের বড় বাজার এলাকার অধিকাংশ দোকানদার লুকোচুরি করে মালামাল বিক্রি করছে প্রতি দিনই। শহরের এনএস রোডের অবস্থা একইরকম। প্রতিটি দোকানের সামনে কর্মচারীরা খদ্দেরের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে আর খদ্দের আসলেই তার চাহিদা মোতাবেক মালামাল দেয়া হচ্ছে। গতকাল প্রথম দফার লকডাউনের শেষ দিনে পুলিশ সুপার খায়রুল আলম শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পরিদর্শন করেছেন এবং জনগনকে ঘর থেকে বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি মুখে মাস্ক ব্যবহারেরর উপর গুরুত্বারোপ করেন।