নিজ সংবাদ ॥ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুষ্টিয়া-এর আয়োজনে গতকাল সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র ৫ বছর মেয়াদী (জানুয়ারী ২০২২-ডিসেম্বর ২০২৬) পার্টিসিপেটরি অ্যাকশান অ্যাগেইনস্ট করাপশন; টুওয়ার্ডস ট্রান্সপারেন্সি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টেবিলিটি (প্যাকটা) প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি মো: রফিকুল আলম টুকু’র সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক নূরে সফুরা ফেরদৌস, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: তবিবুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়া জেলার উপপরিচালক মো: আলমগীর হোসেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইশতিয়াক ইকবাল হিমেল, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো: জাহিদুল হক, পুলিশ পরিদর্শক মো: শাহাদাৎ হোসেন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: ইয়াসমিন আহমেদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুম মনিরা, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: আবু রায়হান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: একরামুল হক সরকারসহ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) এর সদস্যবৃন্দ, ইয়েস সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। প্রকল্পের ৫ বছর মেয়াদী কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন টিআইবি’র ক্লাস্টার কোঅর্ডিনেটর মো: ফিরোজ উদ্দিন। তিনি প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আওতাভুক্ত খাত, মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রসমূহ, প্রকল্পের অংশীজন, বাজেট, কার্যক্রম ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন পদ্ধতি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, সেবা প্রদান করার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। অ্যাকাউন্টেবিলিটি ও ট্রান্সপারেন্সি। সবাই যেন জানতে পারে আমরা কি সেবা প্রদান করছি। কোন ধরনের সেবা প্রদান করছি। তিনি প্রতিষ্ঠান প্রধানদের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও তিনি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশেষ করে সিটিজেন চার্টার, তথ্য অধিকার, শুদ্ধাচার কৌশল, বার্ষিক কর্ম-সম্পাদন চুক্তি’র বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন সনাক-টিআইবি’র প্যাকটা প্রকল্পের কাজ সফলভাবে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। সভাপতির বক্তব্যে মো: রফিকুল আলম টুকু বলেন, আমরা এই প্রকল্পে ডিজিটাইলেজেশনের দিকে যাচ্ছি। প্যাকটা প্রকল্পের আমরা প্যাকটা অ্যাপ ব্যবহার করছি। প্যাকটা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি কমিয়ে আনা সম্ভব হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে সকল সরকারী-বেসরকারী সংস্থাসমূহের সহযোগিতা প্রয়োজন।
Leave a Reply