ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ বাবার পথ ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন আজম খান। সাবেক কিপার-ব্যাটসম্যান মঈন খানের ছেলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলে। আজম নিজেও কিপার-ব্যাটসম্যান। ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সে তরুণ নজর কেড়েছেন নির্বাচকদের। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য শুক্রবার তিন সংস্করণের দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ইংলিশদের বিপক্ষে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাবর আজমের দল। এরপর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুই টেস্ট ও পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলবে তারা। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে পিএসএল ও সিন্ধের হয়ে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে দারুণ ব্যাটিংয়ে জাতীয় দলের দুয়ার খুলেছে আজম খানের। মূলত তার বিধ্বংসী ব্যাটিং নজরে এসেছে পাকিস্তানের নির্বাচকদের। টি-টোয়েন্টিতে ২২ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট দেড়শর উপরে। কাঁধে অস্ত্রোপচারের পর বোলিংয়ে আগের মতো ধার না থাকায় দলে জায়গা হারিয়েছিলেন মোহাম্মদ আব্বাস। কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দলে ফিরলেন এই পেসার। ৭ ম্যাচে ১৫.৯৬ গড়ে আব্বাস নেন ২৭ উইকেট। ইনিংসে পাঁচ উইকেট একবার। সেটাও নিয়েছিলেন মিডলসেক্সের বিপক্ষে ১২ বলের মধ্যে! পিঠের চোটে গত বছরের বেশিরভাগ সময় দলের বাইরে থাকা তরুণ পেসার নাসিম শাহকেও টেস্ট দলে রেখেছে পাকিস্তান। আব্বাস ও নাসিম গত জানুয়ারিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ টেস্ট খেলেন। জিম্বাবুয়ে সফরের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন তাবিশ খান ও সালমান আলি আগা। স্পিনিং অলরাউন্ডার আগা অবশ্য আছেন ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে। হাটুর চোট থেকে এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি ইয়াসির শাহ। এই লেগ স্পিনারকে সাদা পোশাকের দলে রেখেছে পাকিস্তান। তবে তাকে উতরাতে হবে ফিটনেস পরীক্ষা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ডাক না পাওয়া হারিস সোহেলকে এবার ওয়ানডে দলে রেখেছে পাকিস্তান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ২০১৯ বিশ্বকাপে দলের সেরা পারফর্মারদের একজন হলেও জায়গা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে পায়ের চোটে ছিটকে পড়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সৌদ শাকিল আছেন ইংলিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে দলে। ইমাদ ওয়াসিমকে ফেরানো হয়েছে টি-টোয়েন্টি দলে। গত ডিসেম্বরে নিউ জিল্যান্ড সফরে সবশেষ ম্যাচ খেলেন ৩২ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। আগামী ২৫ জুন ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবে পাকিস্তান দল। ৮ জুলাই শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৬ জুলাই। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ শুরু হবে ২৭ জুলাই। দুটি টেস্ট ১২ ও ২০ অগাস্ট থেকে। পাকিস্তান টেস্ট দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান, আবদুল্লাহ শফিক, আবিদ আলি, আজহার আলি, ফাহিম আশরাফ, ফাওয়াদ আলম, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমরান বাট, মোহাম্মদ আব্বাস, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, নুমান আলি, সাজিদ খান, সরফরাজ আহমেদ, সৌদ শাকিল, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাহনওয়াজ দাহানি, ইয়াসির শাহ (ফিটনেস পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল), জাহিদ মাহমুদ। পাকিস্তান ওয়ানডে দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আবদুল্লাহ শফিক, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হারিস সোহেল, হাসান আলি, ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলি আগা, সরফরাজ আহমেদ, সৌদ শাকিল, শাহিন শাহ আফ্রিদি, উসমান কাদির। পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দল: বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান, আরশাদ ইকবাল, আজম খান, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহিন শাহ আফ্রিদি, শারজিল খান, উসমান কাদির।