ঢাকা অফিস ॥ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সাহসী প্যাকেজ এবং সবগুলো ক্ষেত্রেই সঠিক উদ্যোগের কারণে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। দেশের মাথাপিছু আয় ১৬৩ ডলার বেড়েছে, একদিকে করোনায় অর্থনীতি চাপে ছিলে। অর্থনীতির কোন দিকটা ভালো হওয়ার কারণে মাথাপিছু আয় বেড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনার সময় যে সাহসী প্যাকেজগুলো নিয়েছেন একের পর এক এবং সবগুলো ক্ষেত্রেই তিনি স্পর্শ করেছেন। সে কারণেই আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির প্রত্যেকটাই এখন উন্নতির দিকে, নেগেটিভ কিছু নেই। আমাদের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪৭ যা আগের মতোই আছে। দুর্যোগের মধ্যেও এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের পণ্য রফতানি ৩২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যেটার গ্রোথ ৮ দশমিক ৭ শতাংশ। রেমিট্যান্সের গ্রোথ হলো ৪০ শতাংশ। ১১ মাসে রেমিট্যান্স হয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভে গত জুনে ছিলে ৩৬ বিলিয়ন ডলার, এখন এটি ৪৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এ মাসেই এটি ৪৫ বিলিয়ন ডলার হবে। আমরা আশা করি আগামী অর্থবছর নিঃসন্দেহে এটা ৫০ বিলিয়ন ডলার টাচ করবে। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, নো পারফরমিং লোন অনেক কমে আসছে, এখন ৭ দশমিক ৬৬ আছে। গত বছরের জুনে ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। পুঁজিবাজারে গত বছরের জুনে ৩ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল। এখন সেটা বেড়ে ৪ লাখ ৯৫ হাজার হয়েছে। আমাদের জাতীয় রাজস্ব নিয়ে সবসময় বিচলিত থাকি, সেই জাতীয় রাজস্ব এপ্রিল পর্যন্ত গ্রোথ ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে স্বীকার করতে হবে আমরা আগের চেয়ে অনেক ভালো করছি। ভালো করার পেছনে যুক্তি হলো প্রধানমন্ত্রী সময় উপযোগী, সময়মতো এবং প্রণোদনা দিয়েছেন যা প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছেছে। যারা চাকরি হারিয়েছেন, যারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, অটিস্টিক সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। সে কারণেই টাকার সাপ্লাই এখন বেশি। বিশেষ করে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি এখন অনেক ভালো। আমাদের ইমপোর্ট আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে। এসএমই খাতের বরাদ্দের টাকা দেয়া যায়নি, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সিস্টেমে নিয়ে দিচ্ছি এটা। কোনো মিডলম্যান ব্যবহার করছি না। মিডলম্যান ব্যবহার করলে যাদের টাকা দিচ্ছি তারা পেত না। সেজন্য যাদের একাউন্ট নাম্বার নেই তাদের যার যে মাধ্যম আছে সেটি দেখে-শুনে দেয়া হচ্ছে। ১০ টাকা দিয়ে একাউন্টের বিষয়টি আনা হয়েছিল, যাতে তারা ব্যাংকমুখী হয়। সেটি করে আমরা তাদের ব্যাংকে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা সাহায্য ব্যাংকে দেব বলেই তাদের ব্যাংকমুখী করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply