মাহফুজ আনাম ॥ পোল্ট্রি ফার্ম দিয়ে বাজিমাত করেছে কুষ্টিয়ার আব্দুর রাফেত বিশ্বাস কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন। ছোট পরিসরে শুরু করে, তবে বর্তমানে সেটা সফলতায় পৌঁছে গেছে। মাত্র ৩৮ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে এখন তার মাসিক আয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কামিরহাট গ্রামের মুনজিল ইসলামের ছেলে আবির। প্রথমে ৩ শতাংশ জমির উপর এই ফার্ম স্থাপন করে, সেখানে মাত্র ৩শ মুরগী দিয়ে শুরু হয় যাত্রা, পরবর্তীতে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং অধিক লাভ হওয়ায় বড় আকারে ঘর নির্মাণ করেন। যেখানে ৩ হাজার মুরগী ধারণকৃত সেড রয়েছে। তার ফার্মে বর্তমানে দুই ধরনের মুরগী উৎপাদন করা হয়, মাংস-উৎপাদনকারী বয়লার মুরগি ও সোনালি মুরগী। আবির বলেন, নিজের উদ্যোগে পারিবারিক সাপোর্টে আমি ছোট আকারে এই ফার্ম তৈরি করি। প্রথমবার বেশ ভালো লাভ হওয়ায় এবারে ফার্ম এর আকার ও মুরগির সংখ্যা বাড়িয়েছি। তিনি বলেন, খামারে উৎপাদিত পোল্ট্রিগুলো পাইকারি ও খুচরা উভয়ই বিক্রি করা হয়। বিক্রি করতে কখনও কোনো সমস্যা হয়না। মাত্র ৩০০ মুরগির দিয়ে শুরু করেছিলাম। এখন আমার ফার্মে ৩ হাজার মুরগি রয়েছে। প্রতিমাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকার উপরে আয় হয়। তিনি বলেন, সরকারী প্রশিক্ষণ পেলে আরো সফল হতে আশাবাদী। আবিরের এই কার্যক্রমের দেখাদেখি এলাকার আরো ৩ জন যুবক নতুন ফার্ম স্থাপন করেছেন। তার এই কাজের দ্বারা সমাজে ভালো মর্যাদা পাচ্ছে। ফুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, কলেজ ছাত্র আবির পোল্ট্রি ফার্ম করে বেশ সফল হয়েছে। তার দেখাদেখি আরো কয়েকজন এ মুরগি ফার্ম শুরু করেছে। বেকার বসে না থেকে নিজেদের উদ্যোগে যুবকরা কাজ করলে বেকারত্ব আর থাকবে না। উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সোহাগ রানা বলেন, পোল্ট্রি পালন খুবই লাভজনক। আমরা উপজেলা থেকে খামারীদের পরামর্শ ও ওষুধ দিয়ে এবং সার্বক্ষনিক তদারকির মাধ্যমে আরো উদ্বুদ্ধ করছি।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply