কৃষি প্রতিবেদক ॥ বিদেশি ফুল চাষ করার জন্য বাংলাদেশের ফুল চাষিরা বিদেশ থেকে টিস্যু কালচারের ফুলের চারা এনে ফুল চাষ করছেন। দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের কয়েক কোটি চারার চাহিদা রয়েছে। দেশে প্রাপ্যতার অভাবে ফুলচাষিরা ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার ফুলের চারা কিনে আনেন। ফুল চাষিদের চাহিদার কথা ভেবে রাজশাহীতে অ্যাগ্রোব্যাক নামের একটি টিস্যু কালচার ল্যাব বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা উৎপাদন করছে। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় অ্যাগ্রোব্যাক ল্যাবে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে জারবেরা, ইউস্টোমা, লিলিয়াম, টিউলিপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের চারা উৎপাদন করছে। তারা সেগুলো কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে সারাদেশের ফুলচাষিরা ফুলচাষে টিস্যু কালচার প্রযুক্তির ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। টিস্যু কালচার ল্যাব পরিদর্শন, হার্ডেনিং হাউসে ফুলের চারার সংরক্ষণ, মাঠপর্যায়ে ফুল উৎপাদন যেন ফুলচাষিদের কাছে আশার আলো জুগিয়েছে। এরকম আরও টিস্যু কালচার সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্র্রি ও ল্যাব গড়ে উঠলে ভারত থেকে আর চারা আনতে হবে না বলে তারা জানিয়েছেন দেশের সেরা ফুলচাষি, ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, সারাদেশে টিস্যু কালচারের ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান যেভাবে সফলতার সঙ্গে বিভিন্ন ফুলের যে চারা উৎপাদন শুরু করেছে তাতে ভবিষ্যতে আর ভারত থেকে চারা আনতে হবে না। টিস্যু কালচারের চারা ভারত থেকে কেনা দামের চেয়ে অনেক কম মূল্যে চারা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে সারাদেশের ফুলচাষিরা লাভবান হবেন। বাংলাদেশে ফুল চাষের জনক ও ফুলচাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি যশোরের ঝিকরগাছার শের আলী বলেন, টিস্যু কালচারের ফুলের চারা উৎপাদন হওয়ায় তিনি খুব খুশি। সারাদেশে যেন প্রতিষ্ঠানটি চারা সরবরাহ করতে পারে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। অ্যাগ্রোব্যাক বাংলাদেশে প্রথম ও একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফুলের চারা উৎপাদন এবং সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। অ্যাগ্রোব্যাক টিস্যু কালচার ল্যাবের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ও পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, আমরা টিস্যু কালচারের মাধ্যমে জারবেরা, ইউস্টোমা, লিলিয়াম, টিউলিপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ বিভিন্ন ফুলের চারা উৎপাদন করছি। কৃষকদের মধ্যে সেগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে।
Leave a Reply