ঢাকা অফি ॥ জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে বর্তমান সরকার একটি সুসম, সময়োপযোগী, সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য অনন্য বাজেট দিয়েছে। তারা বলেন, শেখ হাসিনার মতো যোগ্য, সাহসী দূরদর্শী নেতার জন্যই এ সাহসী বাজেট দেয়া সম্ভব হয়েছে। গত ৩ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। গতকাল সোমবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে গত ৭ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পুরক বাজেট পাস করা হয়। গতকাল সোমবার বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের মোহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, নারায়ন চন্দ চন্দ্র, ওয়াশিকা আয়েশা খান, ওম্মে কুলসুম স্মৃতি, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনার সরকার একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গড়তে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে অবশ্যই প্রযুক্তির পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তিকে এগিয়ে যাবার হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক যুগ ধরে জাতিকে সে পথে সাফল্যের সাথে পরিচালিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন। পলক গত এক যুগে দেশে প্রযুক্তি খাতের অর্জনগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে সংসদে তুলে ধরেন। পাশাপাশি আইসিটি খাতে তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডও তিনি তুলে ধরেন। সরকারি দলের ফারুক খান এ বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য উল্লেখ করে বলেন, এ বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ। দক্ষতার সাথে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এজন্য কর প্রশাসনে গতিশীলতা আনতে হবে। এমনিতো কোভিডকালীন এ সময়ে শুধু দেশে নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশে অর্থনৈতিক স্থবিরতা চলছে। এ সময় সম্পদ আহরণ যত বেশী হবে বাজেট বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন তত সহজ হবে। তিনি বাজেট সম্পর্কে বিরোধী দলের সমালোচনার জবাবে বলেন, সব দেশের জন্যই বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এ সরকার বিগত সব বাজেট সাফল্যের সাথে বাস্তবায়ন করেছে। এবারও সফল হবে। তিনি মহামারি করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশাল আকারের প্রনোদনার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। রাশেদ খান মেনন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র আর প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। তিনি সফলভাবে বাজেট বাস্তবায়নের ওপর বিশষভাবে গুরুত্ব দেন। এ পথে দুর্বলতাগুলো দূর করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরকারি দলের অন্যান্য সদস্য বলেন, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে আগামীতেও এটা বজায় থাকবে। এ ধারাবাহিকতায় ঘোষিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত- সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে। তারা বলেন, এ বাজেটে দেশীয় শিল্প বিকাশে ১০ বছরের জন্য এ খাতে কর অবকাশ দেয়া হয়েছে। ফলে শিল্প বিকাশের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বাজেটে সামাজিক নিরপত্তা খাতে অধিক বরাদ্দ দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply