নিজ সংবাদ ॥ কুষ্টিয়ায় এবার সব রেকর্ড ছাড়ালো করোনা সংক্রমণ। গতকাল মঙ্গলবার জেলায় নতুন করে আরো ৯৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩ জন রোগী। এখন পর্যন্ত জেলায় এটাই একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত। সেই সাথে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার আবারো চল্লিশের কোঠা পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় দায়সারা বিধি নিষেধ নয়, কঠোর লকডাউন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে সামান্যতম শৈথিল্য দেখালে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। গতকাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে মোট ২৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৯৮টি নমুনা পজিটিভ হয়। পরীক্ষার বিপরীতে আক্রান্তের হার ৪২. ০৬ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়ার রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ৬৫ জন, মিরপুর উপজেলায় ৮ জন, কুমারখালী উপজেলায় ১২ জন, দৌলতপুরে ৬ জন, খোকসা উপজেলায় ১ জন ও ভেড়ামারা উপজেলায় ৬ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদিন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন ৩ জন। এনিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৮৩৪ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৮৮২ জন মানুষ। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩৫ জন।
গত শনিবার থেকে প্রশাসন কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দেয়। তবে এর মধ্যেও জেলায় করোনা সংক্রমণ মারাত্মকভাবে বেড়ে চলেছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে কাগজে-কলমে বিধি-নিষেধ আরোপ হলেও মাঠ পর্যায়ে তা ঠিকমতো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শহরের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস ঢুকতে না পারলেও বাইরে থেকে শহরের লোক প্রবেশ বন্ধ হয়নি। বিশেষ করে ইজিবাইকে গাদাগাদি করে মানুষ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিনই শহরে আসছেন। তাই করোনার লাগাম টানতে হলে এখনই জেলা জুড়ে কঠোর লকডাউন কার্যকর করার ব্যাপারে মত দিচ্ছে স্থানীয় সচেতন মহল।