ঢাকা অফিস ॥ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, বিনা কারণে কেউ ঘর থেকে বাইরে বের হলেই তাদের গ্রেপ্তার করবে পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার লকডাউন ভঙ্গ করে বের হলে আইনি ঝামেলায় পড়তে হবে। রিকশা ব্যবহার করা গেলেও কোনো ইঞ্জিনচালিত যানবাহন ব্যবহার করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া মাঠে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এবারে আমরা প্রথমবারের মতো ২৬৯ ধারায় মামলা দিতে যাচ্ছি, যারা বিনা কারণে বাইরে বের হবেন। এরপর তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হবে। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নূন্যতম ৬ মাসের জেল ও জরিমানা হতে পারে এই আইনে মামলা হলে। গ্রেপ্তারের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এমনও পরিস্থিতি হতে পারে প্রথম দিনেই ডিএমপিতে ৫ হাজার লোককে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাই বিনা কারণে বাইরে বের না হওয়ার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। শফিকুল বলেন, এবারের কঠোর বিধিনিষেধে কোনো ধরনের মোটরযান চালিত গাড়ি নিয়ে বের হতে পারবেন না। তিনি বলেন, কোনো ধরনের যানবাহন এবার চলতে দেব না। তবে পণ্যবাহী যেসব যানবাহন রয়েছে সেগুলো চলবে।ডিএমপি কমিশনার বলেন, সঙ্গত কারণে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কাঁচাবাজার, রোগীদের ওষুধ কেনা, কোভিডের টিকা নিতে যাওয়া, কোভিডের টেস্ট করাতে যাওয়া এসব ক্ষেত্রে কোভিডের ম্যাসেজ দেখিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হতে পারবেন। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে যেতে হলে আমরা তাদের রিকশা ব্যবহারের অনুরোধ করবো। অন্যান্য সব জরুরি কাজে রিকশা ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু পরিবার নিয়ে বাইরে ঘুরতে পার্কে যাওয়ার জন্য রিকশা ব্যবহার করা যাবে না। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি কাঁচাবাজারে ভিড় বেশি হয়। এ কারণে কাঁচাবাজার রাস্তার পাশে নিয়ে আসা হবে যাতে মানুষ দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করতে পারেন। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যারা আসবেন তাদের বহনের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা যাবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগত যাত্রীদের পরিবারকে আমরা অনুরোধ করবো আপনারা গাড়ি দিয়ে বিমানবন্দরে না গেলেও চলবে। কারণ বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গাড়ি রয়েছে। বিদেশগামী যাত্রীদের রাস্তায় যাতায়াত করলে টিকিট এবং পাসপোর্ট প্রদর্শন করতে হবে। মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সব ধরনের বার ও ক্লাব বন্ধ থাকবে। সেটা ঢাকা ক্লাব হোক আর অফিসার্স ক্লাব হোক, সব বন্ধ থাকবে। অলি-গলিতে থাকা সব দোকান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। পুলিশ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে যতটা কঠোর হবে, আপনার পরিবার-সন্তান ততটাই নিরাপদে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা আমাদের সহযোগিতা করবেন। পুলিশের সঙ্গে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে আমাদের ফাঁকি দিতে পারবেন, ভিডিও নিয়ে ভাইরাল করে পুলিশকে সমালোচনার মুখে ফেলতে পারবেন। তবে সন্তান ও পরিবারকে করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে পারবেন না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সংবাদকর্মীরা চলাচল করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply