চলছে করোনাকাল। হাজারো স্বপ্নের মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন। চারা গাছগুলো বেড়ে ওঠার আগেই ঝরে পড়ছে। যার হিসেব নেই। এই স্বপ্ন এবং চারাগাছ পরিচর্যার একটি ক্ষেত্র সংবাদপত্র। যেখানে প্রতিদিন পরিচর্যাই উলে¬খযোগ্য কাজ। সেই কাজগুলো থমকে যাচ্ছে। যেন সবখানে গ্রহণেরকাল দৃশ্যমান। বিপর্যয় কখন কীভাবে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে বলা মুশকিল। যদি রাজনীতির কাথা বলি; হঠাৎ আবির্ভূত আগুন্তুকরা ভাঙলো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। এই ধৃষ্টতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো বিষবাষ্পের মাঝে আমাদের বসবাস। ৭১-৭৫ নয়; ২০২১ সালে আমরা। এমনই এক সময়, যখন পরাধীন অপশক্তি আর মৌলবাদীদের উত্থানের কথা নয়। এরপরও চম্বুক আকর্ষণে সব যেন মিলিত হচ্ছে। যা আশনি সংকেত।
শিশুদের বিকাশ আর শিক্ষাঙ্গন এখন এক মাপকাঠিতে দন্ডায়মান। আগামীর পৃথিবীটা কেমন হতে চলেছে, আমরা জানি না। তবে সবসময়ই প্রত্যাশা মেধাহীন সমাজ যেন গড়ে না ওঠে। স¤প্রীতির সমাজে যেন উগ্রবাদ বাসা না বাধে। আমরা যেন পিছিয়ে না যায়। ডিজিটাল ব্যবস্থা নিশ্চয় গতিহীনতার মাঝে এক সম্ভবনা হয়ে আলো ছড়াবে। শুধু সরকারের দিকে না তাকিয়ে আমরাও প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হতে পারি। যেমন জড়ো পদার্থও আমরা প্রয়োজনে সবসময় কাজে লাগায়। এখন সময়টাকে তেমনই মনে করা যেতে পারে। অপচয় না করে ব্যবহার করতে পারি, নিজের এবং দেশের জন্য।
প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী আজ হাতের মুঠোয়। সেখানে সবকিছু ঠিক আছে। শুধু আমরা মানুষ অজানা আতংক আর মৃত্যু ভয়ে দিশেহারা। তবে যদি অপরাধের কথা বলি। থেমে নেই। যেসব নিত্যদিনের শিরোনাম হয়েছে। এখনও তাই। তাহলে বড় কোনো সংকটেও আমরা নিজেদের বদলাতে পারিনি। এই শিক্ষা নিতেই হচ্ছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক এবং উদ্বেগের কারণ। কেননা একটা সময় আমরা দেখবো কারোনা পৃথিবীকে অনেকখানি বদলে দিয়েছে। জীবনযাত্রা এবং জীবিকাসহ অনেক অভ্যাসেও এর প্রভাব রয়ে যাবে। শুধু অপরাধ প্রবণতা এবং নিজেকে বদলাতে না পারাটা হবে কষ্টের। যা অনেকটা করোনা মহামারীর মতোই অপ্রত্যাশিতভাবে রয়ে যাবে মনের গহিনে।
পত্রিকা সম্পাদনার টেবিলে আমরা অনেক কিছুই বদলে দিতে চায়। অনেক সংবাদ আমাদের প্রত্যাশিত নয়। তবুও চলমান ঘটনার মাঝে তুলে ধরতেই হয়। যদি সমাজটা বদলে যেতো। রাজনীতির ভাষায় আগুন সন্ত্রাস এবং নাশকতা যদি চিরতরে বন্ধ হতো। সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নষ্ট না হতো। আমরাও হতাম অনুকরণীয়। যেমন নানা গল্পের মাঝে আমরাই উন্নত দেশের উদাহরণ দিয়ে থাকি। দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাও এমনই এক নবজাগৃতির অধ্যায়। উদাহরণ দেখাতে নয়; সবসময় উদাহরণ হতেই পছন্দ এ পত্রিকাটির। বাঙালি জাতীয়তাবাদের বীজ রোপন আর চিন্তা-চেতনার মাইলফলক এক ঝাঁক সাংবাদিক। যার গোড়াপত্তন করেছিলেন দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ ও প্রতিশ্র“তিশীল সাংবাদিক ও সম্পাদক মনজুর এহসান চৌধুরী। তাঁর সম্পাদনা নিষ্ঠায় পরিশীলিত, রুচিশীল, আপামর মানুষের পত্রিকা হয়ে ওঠে দৈনিক আন্দোলনের বাজার।
প্রিয় পাঠক, সমাজে নৈতিক স্খলনের ক্ষেত্র অনেক। তবুও এই পত্রিকার মাধ্যমে বেশিরভাগ গ্রহণযোগ্য সংবাদ আপনাদের কাছে পৌঁছাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মনে রাখবেন- আমরা কখনও কোনো প্রতিশ্র“তির ব্যত্যয় করি না। সঙ্গে থাকবেন প্রতিদিন; এই শুভ প্রত্যয় আমাদের। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সকল পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, সাংবাদিক, কলামিস্ট, পরিবেশক ও সু-পরামর্শকদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।
আনিসুজ্জামান ডাবলু
সম্পাদক,
দৈনিক আন্দোলনের বাজার
কুষ্টিয়া
You cannot copy content of this page
Leave a Reply