ক্রীড়া প্রতিবেদক ॥ সময়ের অন্যতম সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদ। বল হাতে গতির ঝড় তুলে নজর কেড়েছেন কোচ, নির্বাচকদের। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার পর দীর্ঘ সময় ইনজুরির সঙ্গে লড়তে হয়েছিল তাকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার ম্যাচ (তিন ওয়ানডে ও এক টি-২০) খেলার পর আবারও ইনজুরির ধাক্কায় মাঠের বাইরে এ তরুণ। ব্যাক ইনজুরিতে পড়ে নিউজিল্যান্ডে একটি ওয়ানডে খেলেই গত মার্চের শেষ দিকে দেশে ফিরেছিলেন হাসান। ডানহাতি এ পেসারের ব্যথাটা বাম পাশে নিচের দিকে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ফ্যাসিট জয়েন্ট ইনজুরি। রিহ্যাবের মাধ্যমে কিছুটা সেরেও উঠেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন আগে বোলিং করতে গিয়ে আবারও ব্যথা অনুভব করেন হাসান। এমআরআইতে বড় কিছু ধরা পড়েনি, তবে ব্যথা পিছু ছাড়ছে না তার। তাই হোম সিরিজের জন্য শুরু হওয়া প্রাথমিক দলের অনুশীলনে যোগ দেননি তিনি। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট খেলতে যেতে পারেননি, এবার দেশের মাটিতে লঙ্কানদের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজেও অনিশ্চিত হাসান। আগামী সাত দিনে বলার মতো উন্নতি না হলে টানা দুটি সিরিজে ডানহাতি এ পেসারকে পাবে না বাংলাদেশ। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য আশাবাদী হাসান ওয়ানডে সিরিজ খেলতে পারবেন। শুক্রবার তিনি বলেছেন, ‘আরো সাত দিন লাগবে। আশা করি হাসান ফিট হয়ে যাবে। সময় তো এখনো আছে। ফিজিওদের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরোপুরি বুঝতে পারব।’ নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরার পর বিসিবির ফিজিওদের অধীনে রিহ্যাব চলছিল হাসানের। শুক্রবার তার ইনজুরি সম্পর্কে বিসিবি সূত্র জানায়, ‘হাসানের লো ব্যাক পেইন। এটাকে ফ্যাসিট জয়েন্ট ইনজুরি বলে। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে আমরা এটা পেয়েছি। ডানহাতি বোলার, ইনজুরিটা বাম দিকে।’ সূত্র আরো জানায়, ‘এসব ইনজুরি হলে এমআরআইতে আসে না। আমরা বোন (হাড়) সিটি স্ক্যানও করেছি। এখন ইনজুরির ধরন অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে।’ জানা গেছে, আজই হাসানকে নিয়ে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ আবার আলোচনায় বসবে। তারপরই করণীয় ঠিক করা হবে। কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্টে সুস্থ না হলে ২১ বছর বয়সি এ তরুণকে পাঠানো হবে দেশের বাইরে। তবে তার আগে আরো এক সপ্তাহ তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। হাসানের জন্য ঈদের ছুটির পর জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply