নিজ সংবাদ ॥ দেখতে চুকচুকে কালো। তাই নাম দেওয়া হয়েছে ‘কালোমানিক’। সুন্দর দেখতে তাই বাড়িতে ভিড় করছে মানুষ। যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে বিক্রি করতে চাচ্ছেন কালোমানিকের মালিক মাহাবুল আলম। কিন্তু লকডাউনের কারণে কোন ক্রেতা আসতে পারছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের দক্ষিণভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুল আলম। তিনি সাবেক ইউপি সদস্য। দুই বছর আগে ১৩টি বিভিন্ন জাতের গরু নিয়ে বাড়ির পাশে আমবাগানে গরুর খামার গড়ে তোলেন। একে একে সবগুলো গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করেন। তবে রেখে দেন আমেরিকা ব্রাহামা প্রজাতির একটি সুন্দর দেখতে গরু। সেসময় গরুটির ওজন ছিল প্রায় ১২ মণ। সেসময় ভালো দাম না পাওয়ায় তিনি বিক্রি করেননি।
তবে এই এক বছরে গরুটি পালতে গিয়ে প্রেমে পড়ে যান মাহাবুল। গড়ে ওঠে সখ্যতা। নিজের সন্তানের মতোই তাকে লালন পালন করছেন। জিয়ারুল ইসলাম ও রহমান নামে দুজন শ্রমিক রেখেছেন। তারা পালাক্রমে গোসল খাওয়া সব কাজ করায়।
গরুটি খুবই শান্ত প্রকৃতির। পাত্রে থাকা পানির থেকে পাইপ মুখের ভেতর নিয়ে পানি পান করতে পছন্দ করে কালোমানিক। নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয়। উঠে বসে গলায় গলায় ভাব জমায়। প্রতিদিন কাঁচা ঘাস, খড়, কুমড়া, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, ধান, গম, মসুর ডাল খাওয়ানো হয়। তবে আম খেতে ভালোবাসে কালোমানিক। প্রতিদিন তাকে ১৫ থেকে ২০টি আম খাওয়ানো হয়। সারাক্ষন সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে রাখা হয়। দিনে ও রাতে মালিকের নজরেই থাকে কালোমানিক।
কালো কুচকুচে কালোমানিককে দেখতে প্রতিদিন আসে পাশের মানুষ মাহাবুলের বাড়িতে ভিড় করে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা ফোনে গরুটি কেনার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু তাদের চাওয়া দামের সাথে মেলে না। তাছাড়া সরাসরি এসে দরদামে মিলে গেলে তিনি দ্রুত গরুটি বিক্রি করতে চান। বর্তমানে গরুটির ওজন আনুমানিক ২৮ মণ। ৩০ লাখ টাকা দাম পাবার আশা করছেন মাহাবুল।
You cannot copy content of this page
Leave a Reply