1. andolonerbazar@gmail.com : AndolonerBazar :
রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে ভাল অবস্থানে রয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • সর্বশেষ আপডেট : বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ৯০ মোট ভিউ

 

ঢাকা অফিস ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, সরকার দেশবাসীর জন্য টিকা সরবরাহ নিশ্চিতে কোভ্যাক্সের আওতায় বিভিন্ন সূত্রে আরো কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও বাণিজ্যিকভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই ভালো একটা অবস্থানে রয়েছে। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাসভবনে সাংবাদিকদের আরো বলেন, এখন আমরা একটি ভাল অবস্থানে রয়েছি। আগামীতে ভ্যাকসিনের কোন ধরনের সংকট বা ঘাটতি থাকবে না। আমরা (পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে) একটি ভাল অবস্থানে রয়েছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা কোভ্যাক্স কাঠামোর আওয়াত চলতি মাসেই জাপানের কাছ থেকে ২.৫ মিলিয়ন ডোজ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে আরো ১ মিলিয়ন ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন পেতে পারে। ভ্যাকসিনের এই ডোজের সঠিক সংখ্যা এখনো ঠিক না হলেও, ঢাকা চলতি মাসেই এই সংখ্যক ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। মোমেন বলেন, এগুলো অ্যাস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন হতে পারে। বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের আওতায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২.৫ মিলিয়ন ডোজ মর্ডানার ভ্যাকসিন পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ডিসি ঢাকাকে জানিয়েছে যে- তারা বাংলাদেশে আরো টিকা পাঠাবে। কোভ্যাক্স- সবার জন্য সমানভাবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিশ্চিতের লক্ষ্যে গ্যাভি, দি ভ্যাকসিন অ্যালাইয়েন্স পরিচালিত একটি বৈশ্বিক মৈত্রীজোট। মোমেন আরো বলেন, ঢাকা- চীন ও রাশিয়া থেকে কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ের জন্য সক্রিয়ভাবে যোগাযোগ অব্যহত রেখেছে। আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চীন সরকারের কাছ থেকে যে ২ মিলিয়ন ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন ক্রয় করেছে, তা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছেছে। চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের আরো টিকা ক্রয়ের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। পুনরায় ভারতীয় ভ্যাকসিন আসার ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, নয়াদিল্লী কিন্তু কখনোই বলেনি যে- তারা বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিবে না। তিনি আশা করেন- ভারতের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেই ঢাকা প্রতিবেশী দেশটির কাছ থেকে ক্রয়কৃত অবশিষ্ট ভ্যাকসিন পাবে। শুধু ২ ও ৩ জুলাই- এই দুই দিনেই বিভিন্ন চালানে করে বাংলাদেশে ২.৫ মিলিয়ন ডোজ মর্ডানার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন এবং চীনের সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ২ মিলিয়ন ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছেছে। ঢাকা বেইজিংয়ের কাছ থেকে সিনোফার্মের এই ভ্যাকসিন কিনেছে। ২৯ জুন, ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্টেশন (ডিজিডিএ) দেশে কোভিড-১৯ মর্ডানার ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন (ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশন) দিয়েছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতি ভাইরাসটির মোকাবেলায় আটটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদিত কোভিড১৯ ভ্যাকসিনগুলো হচ্ছে- মর্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসন, করোনাভ্যাক, ফাইজার, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি, অ্যাস্ট্রাজেনিকা ও সিনোফার্ম। এখন পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন কোভিড এর ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধিত হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী কোভিড-১৯ এর টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে দেশের সকল স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। ১ হাজার ৫৫টি টিকা কেন্দ্র এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ১ জুলাই পর্যন্ত, মোট ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন করোনা টিকার প্রথম ডোজ এবং ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৯১৩ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো খবর
© All rights reserved ©2021  Daily Andoloner Bazar
Theme Customized By Uttoron Host

You cannot copy content of this page